বিয়েতে বাধা, বিচারপতি বাবার কবল থেকে মেয়েকে মুক্ত করল আদালতই
রাঘবেন্দ্র সিং রাঠোর। রাজস্থান হাই কোর্টের বিচারপতি। তাঁর মেয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের। যতদিন বাড়িতে জানাজানি হয়নি, ততদিন শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু, মেয়ে ভিন্ন জাত-ভিন্ন ভাষার একজনকে ভালোবাসে এবং তাঁকেই বিয়ে করতে চায়, এটা শোনা মাত্র বিচারপতি বাবা রেগে আগুন হয়ে যান। তীব্র ভর্ৎসনার পর মেয়েকে বাড়িতে একটি ঘরে বন্দী করে রাখেন। মেয়ে যাতে বাড়ি থেকে পালাতে না পারে, সেই জন্য মোতায়েন করা হয় রক্ষী।
এদিকে, সিদ্ধার্থবাবু বারবার হবু বউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। স্থানীয় থানা সাহায্য করতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। শীর্ষ আদালত মেয়েটির সাক্ষ্য নেয়। সোমবার বিচারপতি এইচ এল দত্তু ও বিচারপতি সি নাগাপ্পন বলেন, "ওই যুবতীর মঙ্গলের কথা চিন্তা করে আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে, উনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন। উনি আমাদের বলেছেন, ওঁর পছন্দ অনুসারে বিয়ে করতে চান। আদালত সেই অনুমতি দিচ্ছে।" বিচারপতিরা জয়পুরের গান্ধীনগর থানাকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই যুবতীকে সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিতে হবে। যদি যুবতী বা সিদ্ধার্থবাবুর কোনও অসুবিধা হয়, তা হলে তাঁরা যেন সরাসরি আদালতে এসে তা জানান। বিচারপতিরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, বিয়ে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার সব বন্দোবস্ত করতে হবে।