
শুধু নয় জাতীয় সঙ্গীত, এবার রাজ্য ভিত্তিক সরকারি গানের চিন্তা যোগী রাজ্যে! বাড়ছে চাপানৌতর
বেজে গিয়েছে বিধানসভা ভোটের দামামা। জোট থেকে শুরু করে প্রচার, শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী অঙ্ক মেলাতে উত্তরপ্রদেশে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক বিরোধী প্রতিটা রাজনৈতিক দলই। এমতাবস্থায় এবার জাতীয় সঙ্গীতকে পাশে রেখে নতুন 'রাজ্য সঙ্গীতের’ প্রবর্তন হতে চলেছে যোগী রাজ্যে। এমনকী এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই যে রাজ্য সরকারের তরফে সবুজ সংকেত মিলেছে সেকথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব রাজেন্দ্র কুমার তিওয়ারি।

কি বলছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সরকার খুব শীঘ্রই একটি গানকে রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি এই বিষয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছে।" এই গানের প্রবর্তন হলে আগামীতে উত্তরপ্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, এমনকী স্কুল-কলেজেও গাওয়া হতে পারে এই গান। এদিকে এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে এর তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

উত্তরপ্রদেশ দিবসের সূচনাকালেই আসে প্রথম ভাবনা
সূত্রের খবর, আজ থেকে তিন বছর আগে ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রথম উত্তরপ্রদেশ দিবসের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিনেই আদপে আধুনিক উত্তরপ্রদেশের জন্ম হয়েছিল বলে মনে করে যোগী সরকার।আর সেই উপলক্ষ্যেই প্রথম রাজ্যের জন্য বিশেষ একটি গান তৈরির ভাবনা মাথায় আসে বলে জানা যায়। এমনকী রাজ্য ভিত্তিক গান তৈরির জন্য ভিন্ন একটি কমিশনও তৈরি করা হয়। এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো রাজ্য ভিত্তিক গানের প্রবর্তন হলে আগামীতে সে রাজ্যে জাতীয় সঙ্গীতের মতো সমানতালে এই গানকে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

একনজরে উত্তরপ্রদেশের নামকরণের ইতিহাস
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসন ও স্বাধীনতা পরবর্তী বেশ কয়েক বছর ভারত বেশকিছু প্রাদেশিক অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। পরবর্তীতে স্বাধীনতা লাভের পরল দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে রাজ্য ভাগ সংক্রান্ত একাধিক জটিলতা। মাথাচাড়া দেয় নাম সংক্রান্ত জটিলতাও। দীর্ঘ আলোচনার রাস্তায় হেঁটে আর্যবর্ত, অবধ, ভারত খণ্ড, ব্রহ্মদেশ, হিন্দুস্তান, রামকৃষ্ণ প্রান্ত এবং উত্তরাখণ্ডের মতো নতুন নতুন নাম উঠে আসতে থাকে বলে জানা যায়।

বাড়ছে বিতর্ক
সেই সময় প্রায় ২০টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের নামের ব্যাপারে নেওয়া হয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। পাকাপাকি ভাবে রাজ্যের জন্য ঠিক করা হয় নতুন নাম। এদিকে রাজ্যের জন্য পৃথক সঙ্গীতের জন্য রাজ্যের তথ্য বিভাগ কিছু গানের উপর কাজ করছে বলে জানা গেছে। বড় ভূমিকা নিচ্ছে সংস্কৃতি বিভাগও। নেওয়া হচ্ছে জনসাধরণের মতামতও। এদিকে জাতীয় সঙ্গীত থাকার পরও রাজ্য ভিত্তিক সঙ্গীতের আলাদা করে আচমকা কেন প্রয়োজন পড়ল সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে বিতর্কও তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলেও।