দিল্লিতে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে নির্বাচন কমিশনের কোপে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর
দিল্লি নির্বাচনের জন্যে প্রচার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপর। ৭২ ঘণ্টার জন্যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানে হয়েছে যে বিতর্কিত ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জেরে ৯৬ ঘণ্টার জন্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পরবেশ ভর্মার উপরও।
সিএএ বিরোধীদের গুলি করে মারার কথা বলেন অনুরাগ
এর আগে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। রায়থালা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিএএ বিরোধীদের কট্টর সমালোচনা করে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারা উচিত বলেও মন্তব্য করেছিলেন অনুরাগ।
কেজরিওয়ালকে জঙ্গি আখ্যা দিয়েছিলেন পরবেশ
এদিকে কেজরিওয়ালকে জঙ্গি আখ্যা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা পরবেশ ভর্মা। বিজেপি নেতার কথায়, 'দিল্লিতে কেজরিওয়ালের মতো অনেক নাটওয়ারলাল এবং সন্ত্রাসবাদী আছে। আমি বুঝতে পারি না যে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে না দিল্লির কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।' এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে আম আদমি পার্টি।
শাহীনবাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পরবেশ
এদিকে কেজরিওয়ালকে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া ছাড়াও শাহীনবাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরে এসেছিলেন পরবেশ ভর্মা। তিনি বলেছিলেন, 'শাহীনবাগের প্রতিবাদীরাই একদিন ঘরে ঢুকে মা-বোনেদের ধর্ষণ-খুন করবে।'তিনি আরও বলেছিলেন, 'লক্ষাধিক লোক শাহীনবাগে জড়ো হয়েছে প্রতিবাদ করতে। দিল্লির মানুষদের পুরো ব্যাপারটা বুঝতে হবে এবং ভাবতে হবে। এই লোকগুলোই সকলের বাড়িতে ঢুকবে, মা-বোনেদের ধর্ষণ করে খুন করবে আর কারও কিছু করার থাকবে না। আজ সময় রয়েছে সকলের কাছে, বেশি দেরি করলে মোদী-শাহ বাঁচানোর জন্যও কিন্তু থাকবে না।'
নিষেধাজ্ঞার জেরে তারকা প্রাচরকের তালিকা থেকে বাদ
একাধিক বিতর্কের পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের জেরে পরবেশ ভর্মাকে তাদের প্রচারকের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় বিজেপি। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও তালিকা থেকে সরিয়ে দেয় বিজেপি। তবে তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হলে ফের প্রচারের ময়দানে নামতে পারবেন তাঁরা।