বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের! ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রক্ষাকবচ প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টে
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে। আর সেই বিষয়টি তুলে এনে
সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা অনুব্রত মণ্ডলের। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যে গরু পাচার মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে। আর সেই বিষয়টি তুলে এনে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'অন্য মামলায় অনুব্রত্ত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফলে এই মুহূর্তে খুব একটা রক্ষাকবচের গুরুত্ব নেই বলেই মনে করছে সর্বোচ্চ আদালত। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচ কার্যত প্রত্যাহার হয়ে গেল শীর্ষ আদালতে। আর এহেন নির্দেশ অবশ্যই বড় ধাক্কা অনুবত মণ্ডলের কাছে। বলে রাখা প্রয়োজন, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরেই বিভিন্ন জায়গাতে হিংসার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই মামলার তদন্তে বীরভুমে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চায় সিবিআই।
কিন্ত্য বারবার জেরা এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ। এমনকি পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা হয়। আর সেই রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা যাবে না। আর তা করলে আগে কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে। আর সেই নির্দেশ অর্থাৎ অনুব্রতকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষাকবচের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
আজ শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানে একাধিক ইস্যুতে সওয়াল জবাব চলে। বেশ কিছু অভিযোগ করেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তিনি বলেন, হিংসা-মামলায় অনুব্রতর নামে ভুল এফআইআর হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে অন্তত ৬০ কিমি দূরে ডাকা হচ্ছে। যদিও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অন্য একটি মামলাতে তিনি তো গ্রেফতার হয়েছেন।
সিবিআই হেফাজতেই রয়েছে। তাহলে কীভাবে এই প্রোটেকশন থাকে? প্রশ্ন আদালতের। প্রয়োজনে জেলে গিয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে পারে সিবিআই। পর্যবেক্ষণ আদালতের। তবে দুইপক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। তবে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এফআইআর নিয়ে যে অভিযোগ করে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে তা দ্রুত শুনানির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, অনুব্রতর নামে ভুল এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা প্যান্ডিং রয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়! মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়েই ইডির দফতরে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী