দিল্লি হাইকোর্টে ফের একবার পিছল মামলার শুনানি! আপাতত স্বস্তি বজায় থাকল অনুব্রত মণ্ডলের
ফের স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের! দিল্লি হাইকোর্টে ফের একবার পিছিয়ে গেল তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি।
দিল্লি যাওয়া নিয়ে ফের স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের! দিল্লি হাইকোর্টে ফের একবার পিছিয়ে গেল তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আগামী ২ রা ফেব্রুয়ারি ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ফলে আপাতত আসানসোল জেলেই আরও কয়েকদিন নিশ্চিন্তেই থাকতে পারবেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। যদিও গরু পাচার মামলাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ফের একবার জিজঙ্গাবাদ সিবিআই করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
গরু পাচার মামলাতে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর এর মধ্যেই জেলে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এই মামলায় তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই মামলার মুল তদন্ত দিল্লি থেকেই করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কয়েক দফায় জেরা শেষে তাঁর ঠিকানা তিহাড় জেল। ইতিমধ্যে তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের কয়েকশ কোটির বেনামি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
আর এই বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে চায় তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, সেখানে সায়গলের মুখোমুখিও অনুব্রতকে বসাতে পারে ইডি। ইতিমধ্যে দিল্লির নিম্ন আদালত অর্থাৎ রাইস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার উপর নির্দেশ দেয়। যদিও এর মধ্যেই খেলা ঘোরায় রাজ্য পুলিশ। নির্দেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় দুবরাজপুর পুলিশ। ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যান ইডির আধিকারিকরা।
আর এর মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা দায়ের হয়। কার্যত কয়েক দফাতে দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে যায় অনুব্রত মন্ডলের মামলার শুনানি। আজ সোমবার মামলার শুনানির দিন থাকলেও তা ফের একবার পিছিয়ে যায়। জানা যায়, দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি প্রথমে না আসায় মামলার শুনানিতে দেরি হয়। যদিও দুপুর দুটোর পর ফের এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলা যেহেতু ট্রায়াল কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, তাই আপাতত শুনানি হচ্ছে না। ফলে ফের একবার এদিনের মতো দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে যায় অনুব্রত মণ্ডলের মামলা।
ফলে আগামী আরও কয়েকদিন আসানসোল জেলেই বীরভূমের বেতাজ বাদশা কাটাতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যেগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হতে পারে বলে খবর।