১৬ কলা পূর্ণ হল না, তবে জমে গেল মহাজোটের বৈঠক, এক মঞ্চে মিলিত সব ‘প্রতিপক্ষ’
ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই লড়াইয়ে সরকার পাশে পেয়েছে বিরোধীদেরও। তা বলে মোদী হটানোর আওয়াজ থামিয়ে দিতে চান না বিরোধীরা।
ভারতের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশে তৈরি হয়েছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। পুলওয়ামা-কাণ্ডের জবাব দেওয়ার পরই সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। সরকার পক্ষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের সুরক্ষায়। এই লড়াইয়ে সরকার পাশে পেয়েছে বিরোধীদেরও। তা বলে মোদী হটানোর আওয়াজ থামিয়ে দিতে চান না বিরোধীরা। ভোট ঘোষণার আগে তাই দিল্লিতে একজোট বিরোধীরা।
কে নেই এবার বৈঠকে!
কে নেই এবার মহাজোটের বৈঠকে। একদিকে সোনিয়া-রাহুল-মনমোহন, অন্যদিকে মমতা-সহ সমস্ত আঞ্চলিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। শারদ পাওয়ার থেকে শুরু করে চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ফারুক আবদুল্লা, তেজস্বী যাদব-রাও আছেন। তবে এই বৈঠকে নেই অখিলেশ-মায়াবতীরা। তাঁদের দলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
লোকসভার আগে মহাজোট
বুধবার সংসদের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে বৈঠক করেন মহাজোটের নেতা-নেত্রীরা। বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবারই দিল্লি পৌঁছে যান তৃণমূল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাজোটের সলতে পাকানোর যে কাজ শুরু হয়েছিল বছর খানেক আগে থেকে, লোকসভার প্রাক্কালে তা ক্রমশই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।
জোটের বৈঠক সংসদ ভবনে
কলকাতার ব্রিগেড ময়দান থেকে শুরু হয়েছিল জোটের সলতে পাকানোর কাজ। ১৯ জানুয়ারির পর দিল্লিতে শারদ পাওয়ারের বাসভবনে জোট-বৈঠক হল ১২ ফেব্রুয়ারি। তারপর জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংসদ ভবনে। এই বৈঠক থেকে আসন্ন লোকসভার লক্ষ্য স্থির করবে মহাজোট।
এক টেবিলের বৈঠকে
এই বৈঠকের তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার যেমন রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে মমতার উপস্থিতি, তেমনই আরও এক তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির উপস্থিত থাকা। বামেরা এই বৈঠকে থাকবে না বলে প্রথম থেকেই জানানো হচ্ছিল, কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইয়েচুরি এসে পৌঁছন।
ষোল কলা পূর্ণ হল না
শুধু অখিলেশ ও মায়াবতী উপস্থিত থাকলেই ষোল কলা পূর্ণ হত জোটের। সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির দুই সুপ্রিমো যাঁরা উত্তরপ্রদেশের মহাজোটের মূল প্রণেতা, তাঁরা শুধু উপস্থিত নেই, যদিও তাঁদের দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। এই বৈঠক থেকে অভিন্ন কর্মসূচির ভিত্তিতে এগিয়ে চলতে চাইছে মহাজোট।