অ্যান্টি-কোভিড মলনুপিরাভির পিল থেকে কী রেহাই মিলছে করোনা রোগীদের, প্রথম মাসে কত লাভ হল?
অ্যান্টি-কোভিড মলনুপিরাভির পিল থেকে কী রেহাই মিলছে করোনা রোগীদের, প্রথম মাসে কত লাভ হল?
করোনা ভাইরাস যখন দেশে বাড়বাড়ন্ত। ডবল জোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও যখন আটকানো যাচ্ছিল না এই ভাইরাসের দাপট। নাজেহাল হয়ে উঠছিল দেশবাসী। তখন ভারতে ভারতীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রথম অ্যান্টি-কোভিড মলনুপিরাভির পিলের ছাড়পত্র দিয়েছিল। মার্কিন বায়ো-টেকনোলজি সংস্থা রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স আরেক মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্ক এক সঙ্গে এই ট্যাবলেটটি তৈরি করেছে। অ্যান্টি-ভাইরাল এই পিল করোনা রোগীদের চিকিৎসাতেও কার্যকরী বলে জানা গিয়েছিল। ১৩টি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা এই মলনুপিরাভির তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছিল। ভারতে এই পিল চালু করার প্রথম মাসে ৫০ কোটি টাকা দিয়ে ১.২ কোটি পিল কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। যা জানা গিয়েছে ডেটা অনুযায়ী।
কবে এই ট্যাবলেটের অনুমোদন মেলে
গত বছর অর্থাৎ ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশের শীর্ষ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা প্রথম এই অ্যান্টি-কোভিড মলনুপিরাভির পিলের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল।
করোনার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে এই পিল
১৩টি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা এই মলনুপিরাভির তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছিল। সেগুলি হল, ড. রেড্ডি ল্যাবরেটরি, সিপলা, ন্যাটকো ফার্মা, ওপ্টিমাস ফার্মা, স্ট্রাইড এবং হেটেরোর মতো ওষুধ সংস্থা। এই পিল প্রয়োগের ফলে করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ও মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যায়। আবার অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করছেন কোভিডের ঝুঁকি রোগীদের এক তৃতীয়াংশ কমতে পারে।
মোট ১.২ কোটি ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে
তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫.৬ লক্ষের বেশি এই পিলটি বিক্রি হয়েছে। কিছু ব্র্যান্ড ১০ টি ট্যাবলেটের স্ট্রিপ করে বিক্রি করেছে। আবার অনেক ব্র্যান্ড ৪০ টি ট্যাবলেটের স্ট্রিপ করেও বিক্রি করেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, মোট ১.২ কোটি ট্যাবলেট বিক্রি হয়েছে।
সিনিয়র কর্মকর্তা কী জানালেন
মুম্বইয়ের একটি ফার্মে এই পিল তৈরি করা হয়। সেখানকার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, করোনা এই পিল যখন দেশে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চলছিল তখন এটি চালু করা হয়েছিল। আর এটি প্রথম মাসে চালু হওয়ার পরই অনেক লাভ হয়েছে।
বলরাম ভার্গব কী জানিয়েছিলেন
৫ জানুয়ারি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ICMR ডিরেক্টর-জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব বলেছিলেন যে,এই পিলটি নিরাপত্তার মধ্যে কিছু উদ্বেগ রয়েছে। কারণ এতে টেরাটোজেনিসিটি ও মিউটেজেনিসিটি সৃষ্টি করতে পারে। টেরাটোজেনিসিটি মানে গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রূণের ব্যাঘাত ঘটাতে এটি। জিনগত উপাদানে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটাতে পারে মিউটাজেনিসিটি। তিনি আরও বলেন, টেরাটোজেনিক ওষুধের প্রভাবে জন্ম নেওয়া শিশু সমস্যাযুক্ত হতে পারে। শিশুর পেশী ও হাড়র ক্ষতি হতে পারে।