ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে আশার আলো! জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়া হল ডিআরডিও'র তৈরি ওষুধে
গত ২৪ ঘন্টায় ফের চার লক্ষেরও বেশী মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি কার্যত বেলাগাম। ক্রমশ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে উঠছে দেশের করোনা সংক্রমণ। কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব?
গত ২৪ ঘন্টায় ফের চার লক্ষেরও বেশী মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি কার্যত বেলাগাম। ক্রমশ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে উঠছে দেশের করোনা সংক্রমণ।
কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব? উত্তর খুঁজতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন দেশের ডাক্তার থেকে গবেষকরাও।
তবে একাংশের দাবি, দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে মানুষকে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিনেরও আকাল। চাহিদা মতো মিলছে না তা। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে ডিআরডিও। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওষুধ তৈরি করেছে ডিআরডিও।
কার্যত সেনাবাহিনীর জন্যে অস্ত্র সহ সরঞ্জাম তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। দেশের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হল এই সংস্থার তৈরি করোনার ওষুধ।
শনিবার দুপুরে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে ওষুধ ২ডিজি ((২-ডিঅক্সি- গ্লুকোজ) আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হল। ড্রাগ ২ ডিঅক্সি ডি গ্লুকোজ বা সংক্ষেপে ২ডিজি ওষুধটি সংকটজনক পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিকমতো বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলে দাবি প্রস্তুতকারী সংস্থা।
পাউডারের মতো দেখতে এটি। জলে গুলে খেতে হবে। ইতিমধ্যে ডিআরডিও'র তৈরি এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়েছে। একাধিক মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছ। সাফল্য এসেছে। দেখা গিয়েছে, দ্রুতই তাঁদের রিপোর্ট কোভিড নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। গ্লুকোজের অণু এই ওষুধের প্রধান উপকরণ।
সাফল্য আসার পরেই জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধের ছাড়পত্র দেওয়া হল। ডিআরডিও'এর তরফে তদের ওষুধ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছে।
তাঁরা জানিয়েছে, ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, রোগীর শরীরে অক্সিজেন নির্ভরতা কমাতে সক্ষম এটি। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন ও ডঃ রেড্ডিজ ল্যাব এই ওষুধ তৈরি করেছে। সাহায্য করেছে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালিড সায়েন্স।
ডিআরডিও জানাচ্ছে, এই ওষুধ তৈরি করাটা খুব সহজ। খুব অল্প সময়ে গণহারে এটি উৎপাদন করা সম্ভব। ফলে খুব অল্প সময়ে বহু রোগীর কাছে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এই ওষুধের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফাতেও দু'ধাপে হয়েছে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। তার সাফল্যের নিরিখেই এবার ডিআরডিও'র তৈরি ওষুধকে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হল।
করোনা নিধনের ৩ ভ্যাকসিন থাকলেও কোনও বিশেষ অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ছিল না। করোনা আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভরসা ছিল একমাত্র রেমডেসিভির।
আর সেই রেমডেসিভিরেরও চরম আকাল। এই অবস্থায় ডিআরডিও'র তৈরি এই ওষুধ পদ দেখাবে বলে মনে করা হচ্ছে।