প্রশান্ত কিশোরের প্রতিদ্বন্দ্বী কৌশলীবিদের ‘আবির্ভাব’, কড়া টক্কর ২০২১-এর বিধানসভায়
প্রশান্ত কিশোরের প্রতিদ্বন্দ্বী কৌশলীবিদের ‘আবির্ভাব’, কড়া টক্কর ২০২১-এর বিধানসভায়
প্রশান্ত কিশোর এতদিন এই নিজের দুনিয়ায় একাই রাজত্ব করছিলেন, এবার তাঁর প্রতিপক্ষ এসে গেল ভারতীয় রাজনীতিতে। একটা সময়ে তাঁরা সহকর্মী ছিলেন। এখন তাঁরা অবতীর্ণ হতে চলেছেন প্রতিপক্ষ হিসেবে। তামিলনাড়ুতে আসন্ন নির্বাচনে শাসক দলের হয়ে ভোট কৌশলীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন কৌশলবিদ সুনীল কানুগলু।
রাজ্যে লড়াই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কৌশলবিদের
করোনা ভাইরাস ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের আবহেই বিভিন্ন রাজ্যে রাজনৈতিক প্রচার শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জনসভা বা সমাবেশের মাধ্যমে প্রচারের পরিস্থিতি নেই একেবারেই। এই অবস্থায় নেট দুনিয়াকে আশ্রয় করেই প্রচার কৌশল তৈরি করতে হবে। সেই নিরিখেই তামিলনাড়ুতে ডিএম বনাম এআইএডিএমকের লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কৌশলবিদ।
প্রাক্তন সহকর্মী সম্মুখ সমরে
মুখ্যমন্ত্রী পলানিসামির নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকের হয়ে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের গুরু দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিচ্ছেন নির্বাচনী কৌশলবিদ সুনীল কানুগলু। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি এম কে স্টালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে জোটের প্রধান কৌশলবিদ ছিলেন। তিনিই এখন প্রতিপক্ষ শিবিরে।
প্রশান্ত কিশোরের প্রতিদ্বন্দ্বী সুনীল!
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের শাসক দল এআইএডিএমকে মাত্র একটি আসনে জয়লাভ করে তামিলনাড়়ুতে। তামিলনাড়ুর মোট ৩৯টি আসনের মধ্যে মাত্র একটি আসন জিতে ২০২১-এর বিধানসভা লড়াই খুব কঠিন। এই পরিস্থিতিতে সুনীল কানুগলু দায়িত্ব নিচ্ছেন এআইএডিএমকের।
গুজরাটে রাজনৈতিক কৌশল নিরূপণে
সুনীল কর্ণাটকের বেলারির বাসিন্দা। সুপরিচিত পরিবারে তাঁর জন্ম। এবং চেন্নাইয়ে বড় হয়ে ওঠা। সুনীল ইউএসএ থেকে উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন এবং একটি বিশ্ব পরিচালন পরামর্শক সংস্থা ম্যাককিনসে চাকরি করতেন। ভারতে ফিরে আসার পরে সুনীল গুজরাটে রাজনৈতিক কৌশল নিরূপণের কাজেই জড়িত ছিলেন।
২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে সাফল্য
অ্যাসোসিয়েশন অব বিলিয়ন মাইন্ডসের (এবিএম) নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম প্রধান কৌশলবিদও ছিলেন তিনি। সুনীল ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে অত্যন্ত সফল হন। তাঁর প্রচার পরিচালনায় উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয় পায় বিজেপি।
প্রশান্ত ইন, সুনীল আউট
এরপর তিনি এমকে স্টালিনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের তদারকি করেন। ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোট ওই নির্বাচনে মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩৮টি জিতেছে। আইপিএসি-র তার এক সময়ের সহকর্মী প্রশান্ত কিশোর। তিনি ডিএমকে শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে সুনীল কনুগলু স্ট্যালিন-শিবির ছেড়ে চলে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন।
আগামী দিনে কে রাজ করবে ভারতে
এরপর সুনীল ইপিএসের পক্ষে কাজ শুরু করেন এবং তামিলনাড়ুর সরকারি নীতি ও অন্যান্য রাজনৈতিক উন্নতিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। সুনীল ইপিএসে যোগদানের কারণে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক মহলে অনেক উত্তেজনা ও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এখন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই শিবিরের প্রচারের দায়িত্ব প্রাক্তন দুই সহকর্মী। এই যুদ্ধে কে শেষ হাসি হাসেন, তাই বলে দেবে আগামী দিনে কে রাজ করবে ভারতে।
গালওয়ানে কীভাবে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিন? জখম ১১০ জওয়ান! পড়ুন রোমহর্ষক বিবরণ