ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ মিটছেই না! ফের বেজিংকে দাওয়াই দিতে বৈঠক করবেন ডোভাল
ফের চিনের বিদেশমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াঙ- ই -এর সঙ্গে ভিডিও কলে বৈঠক করবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার পরিস্থিতি প্রশমিত করতে আলোচনা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এই বৈঠকে। সীমান্তে এই ধরনের সংঘর্ষ যাতে আগামী দিনে আর না হয়, তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে।

লাদাখ পরিস্থিতি সামলাতে বিশেষ দল
ভারত-চিন মধ্য়কার এই পরিস্থিতি যাতে শান্ত হয়, এর লক্ষ্যে এক বিশেষ দল গঠন করেছে দিল্লি। এই দলের অন্যতম সদস্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পরিস্থিতি শান্ত করার রোডম্যাপ তৈরি করতে বেজিংকে চাপ দিতেই ডোভালকে এই দলের দায়িত্ব দেওযা হয়েছে।

ডোভালের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে অজিত ডোভালের বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদদের একাংশ। এর আগে ডোভাল-বেজিংয়ের বৈঠকের পরই গালওন থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে চিন। জবাবে ভারতের সেনাও পিছিয়ে আসে। তবে লাদাখের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও দুই দেশের সেনা একে অপরের দিকে চোখ রাঙাচ্ছে।

ডোভাল-বেজিং বৈঠকের পরই গালওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহার
কয়েকদিন আগে ডোভাল-বেজিং বৈঠকের বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিও জারি করা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, 'ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা প্রশমিত করতে দু'পক্ষের মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যত দ্রুত সম্ভব সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া দরকার বলে উভয়েই মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি উভয়পক্ষই সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করে।'

ভারতীয় সেনা চিনের উপর নজর রাখছে
এদিকে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে দুই কিলোমিটার পিছনে সরে গেছে চিনের সেনাবাহিনী৷ ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর তাঁবু, গাড়ি এবং বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে চিন। তবে গালওয়ান নদীর পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকায় এখনও অস্ত্রবাহী গাড়ি মোতায়েন রেখেছে চিন। ভারতীয় সেনা সেদিকে নজর রেখেছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া দিল্লি
লাদাখের গালওয়ান উপত্তকায় ১৫ জুনের সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ। তাও লাদাখের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা কমার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। বরং বিভিন্ন এলাকায় ভারত-চিন সেনা এখন সম্মুখ সমরের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। তবে এরই মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া দিল্লি।

কী কারণে ময়দানে ডোভাল?
জানা গিয়েছে, আগামী দশ দিনের জন্য ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করে এগোতে চলেছে দিল্লি। দিল্লির কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এখন গালওয়ান উপত্যকা। এখানে পরিস্থিতি স্বভাবিক করতে আগামী দশ দিন ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার রোডম্যাপ ইতিমধ্যেই তৈরি। এর আগে ডোকলামের উত্তেজনার সময়েও ময়দানে নেমেছিলেন ডোভাল।

চিন নিজের নাগরিকদেরই সব থেকে বেশি ভয় পায়! জিনপিংকে কড়া 'ওষুধ' মাইক পম্পেওর