করোনা সঙ্কটে মহারাষ্ট্র, একই মাসে শিক্ষামন্ত্রী সহ ৬ জন কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত
দেশের একাধিক রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমতে দেখা গেলেও মহারাষ্ট্রে কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়ায় উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই। সংশ্লীষ্ট রাজ্যের মন্ত্রী–নেতার শরীরেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। শুক্রবার রাজ্যের সেচ ও শিক্ষা মন্ত্রী বাচ্চু কাদু দ্বিতীয়বার এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বাচ্চু কাদু ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবার এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন।
মন্ত্রী বলেন, 'আমি দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা ভাইরাস পজিটিভ। আমি বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছি। যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা সকলে টেস্ট করিয়ে নেবেন।’ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপ সহ বেশ কিছু মন্ত্রী এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ের নতুন দুঃস্বপ্ন এখন করোনা ভাইরাস। মহারাষ্ট্রে বুধবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৭ জন। বিগত দুমাসে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর একই ধরনের টুইট করেছেন মহারাষ্ট্রের অপর মন্ত্রী জয়ন্ত আর পাটিল এবং এনসিপি নেতা একনাথ খাডসে। একনাথ খাড়সের পূত্রবধূ তথা বিজেপি সাংসদ রক্ষা খাডসেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এনসিপি নেতারা তাঁদের জনগণের সঙ্গে কবৈঠক, যা 'জনতা দরবার’ নামে খ্যাত, সেই কার্যক্রমও দু’সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন। এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জনগণ তাঁদের সমস্যা ই–মেল করে পাঠাতে পারেন। এই মাসের গোড়ার দিকে অনিল দেমুখ, সতেজ পাটিল ও রাজেন্দ্র সিংঘনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নাগপুরের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনিল দেশমুখ ১৫ ফেব্রুয়ারি। গত বছর উপ–মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার সহ রাজ্যের বহু নেতা–মন্ত্রী কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এমনকী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনেকক্ষেত্রে মেনে চলছে না, যা সংক্রমণ বাড়ার একটি অন্যতম কারণ।