প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে সমর্থন করতে পারেন আন্না হাজারে
আন্নার দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের সৌজন্যে উত্থান হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। কিন্তু দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বর্ষীয়ান গান্ধীবাদীকে কার্যত ভুলেই গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি তাই আর ভরসা করছেন না কেজরিওয়ালকে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই মমতাকে চাইছেন তিনি।
প্রশ্ন হল, হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর ওপর এত আস্থা কেন?
প্রথমত, জয়ললিতা, মায়াবতী, মুলায়ম সিং প্রমুখের সঙ্গে সততার প্রশ্নে তুলনাই চলে না মমতার। স্বচ্ছ ভাবর্মূতি রয়েছে তাঁর। তাই আন্না মনে করছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন করলে দেশব্যাপী দুর্নীতি-বিরোধী লড়াই জোরদার হবে।
দ্বিতীয়ত, কিছুদিন আগে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন চেয়ে নবান্নতে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন আন্না হাজারে। ১৭টি বিষয়ের উল্লেখ ছিল চিঠিতে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে মজবুত করা, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের হাতের কাজ শিখিয়ে স্বনির্ভর করা, কঠোরতম দুর্নীতি-বিরোধী আইন প্রণয়ন ইত্যাদি ছিল ওই ১৭ দফা দাবির অন্তর্গত।
প্রত্যুত্তরে মমতার নির্দেশে তৃণমূল নেতা মুকুল রায় একটি চিঠি লেখেন আন্না হাজারেকে। তাতে তিনি লেখেন, "আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনজীবনে স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করেন। আপনি সেই স্বচ্ছতা আনতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়েছেন। আপনাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।" এই চিঠি পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন আন্না। অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী পদে মমতাকে সমর্থনের ব্যাপারে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেন।