অল্পবয়সীদের তৈরি অ্যানিমেশন ফিল্মে 'সুপারম্যান' নরেন্দ্র মোদী
আমেদাবাদে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ফ্যান্স ক্লাব। এদের আর এক নাম গুজরাত গৌরব ফ্যান্স ক্লাব। সংগঠনের সদস্যদের কারও বয়স ১৮, কারও ২০, কারও বা আবার ২৫ বছর। এক কথায় জেনারেশন ওয়াই! এঁদের চোখে এখন নরেন্দ্র মোদী মহানায়ক। তাই প্রিয় মহানায়কের গৌরবগাথা বর্ণনায় সবাই মিলে দিনরাত খেটে বানিয়েছেন এই অ্যানিমেশন ফিল্ম। সিনেমার নাম হল 'নেশন ইন মোশন-নমো'।
এই অ্যানিমেশন ফিল্মে নরেন্দ্র মোদীকে দেখানো হয়েছে পুরোপুরি সুপারম্যান হিসাবে। সঙ্গে মানানসই সঙ্গীত। দেখানো হয়েছে, দেশের মানুষের সব দুঃখ-কষ্ট এক চুটকিতে মিটিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
এই ক্লাবের সদস্য তথা সদ্য কলেজে পা দেওয়া তরুণী জানকী বললেন, "উনি যা বলেন, সেটা করেন। তাই আমরা ওঁকে এত ভালোবাসি। কী স্মার্ট, ওয়াউ! যে কোনও মেয়ের কাছে উনি কাঙিক্ষত পুরুষ। আমার তো ওঁকে দারুণ লাগে।" জানকীর কথা সমর্থন জানিয়ে উর্বী চৌহান বলেন, "গুজরাতের ভোল বদলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আমরা চাই উনি এবার দেশকে বদলান। আমাদের দেশ সুপার পাওয়ার হোক। তাই আমরা যে অ্যানিমেশন ফিল্ম বানিয়েছি, সেখানে নরেন্দ্র মোদীকে সুপারম্যান হিসাবে দেখানো হয়েছে।"
নরেন্দ্র মোদী ফ্যান্স ক্লাবের সভাপতি রাজীব ছাজের বললেন, "শুধু অ্যানিমেশন ফিল্ম নয়, আমরা নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বই বের করেছি। বিভিন্ন ভাষায় মোট ১১২টা। সেখানে ওঁর জীবন, কার্যকলাপ ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। ভাবুন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ১১২টা বই। তা হলে প্রধানমন্ত্রী হলে কতগুলো বই হবে! বাজারে এত চাহিদা যে, আমরা কুলিয়ে উঠতে পারছি না। আমাদের মতো অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরাই বেশি কিনছে এই বই।"
প্রসঙ্গত, এর আগে মোদী-কুর্তা, মোদী-সানগ্লাস, মোদী-টুপি, মোদী-পিচকিরি বাজার মাত করেছে। এগুলোতে নরেন্দ্র মোদীর হাসি মুখে ছবি দেওয়া রয়েছে। হিন্দি বলয় এবং গুজরাত-মহারাষ্ট্রে বেশি চাহিদা রয়েছে এগুলির। অ্যানিমেশন ফিল্ম সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।