ইডির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ অনিল আম্বানি! ইয়েস ব্যাঙ্ক কাণ্ডে কতটা দোষী রিলায়েন্স কর্তা?
বৃহস্পতিবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি। ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থ তছরুপের মামলার প্রেক্ষিতেই অনিলকে তলব করে পাঠিয়েছিল ইডি। দ্বিতীয়বার তলব পেয়েই আজ সকাল সকালই মুম্বইয়ে অবস্থিত ইডি দফতরে হাজির হন রিলায়েন্স কর্তা।

কী ভাবে এত বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হল ইয়েস ব্যাঙ্ক!
ভারতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে প্রায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। তবে সেই পরিস্থিতি থেকে সংস্থাটিকে তুলে ধরতে এগিয়ে আসে এসবিআই সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা। আরবিআইয়ের কয়েকটি পদক্ষেপের পর মনে করা হচ্ছে যে হয়ত বন্ধ হবে না ইয়েস ব্যাঙ্ক। তবে প্রশ্ন ওঠে কী ভাবে এত বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হল ইয়েস ব্যাঙ্ক! আর এতেই রানা কাপুরের আর্থিন অনিয়মের বিষয়টি সামনে আসে। পাশাপাশি নাম ওঠে অনিল আম্বানির।

ইডির হেফাজতে রানা কাপুর
ইতিমধ্যেই সিবিআই এবং ইডি সংস্থার প্রধান রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে দেওয়ান হাউসিং ফিনান্স লিমিটেডের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেন করেছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে রানা কাপুরের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা রানা কাপুরকে টানা কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে দিল্লি ও মুম্বই নিবাসী তাঁর মেয়েদের বাসস্থানেও তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগের সপ্তাহে ইডির দফতরে জাননি অনিল
এরপর ইয়েস ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অনিল আম্বানিকে তলব করা হলে তিনি ইডির দফতরে যাননি। ইডির তলব পেয়ে অনিল আম্বানি জানিয়েছেন আপাতত তাঁর শরীর ভালো নেই। তাই তাঁকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্যে আরও খানিকটা সময় দেওয়া হোক। এরপর দ্বিতীয়বার তলব করা হলে আজ দফতরে হাজিরা দিতে যান তিনি। এদিকে জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও এই সপ্তাহের শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে ইডির দফতরে।

ইয়েস ব্যঙ্কের বর্তমান পরিস্থিতি
এদিকে ইয়েস ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চলেছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। তিন বছর পর্যন্ত স্টেট ব্যাংক তার অংশীদারিত্ব ২৬ শতাংশর নিচে নামাতে পারবে না। এসবিআই-এর পাশাপাশি ১ হাজার কোটি টাকা করে ইয়েস ব্যাংকে লগ্নির ঘোষণা করে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ৬০০ কোটি, কোটাক মাহিন্দ্রা ৫০০ কোটি লগ্নির ঘোষণা করে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের পুঁজির ৭৫ শতাংশ তিন বছর ইয়েস ব্যাঙ্কে রাখতেই হবে।