'সর্পযজ্ঞ' করছে খোদ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার, কারণ জানলে অবাক হবেন
সর্পদেবতাকে তুষ্ট করতে এবার খোদ সর্পযজ্ঞ করতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু সরকার।
সর্পদেবতাকে তুষ্ট করতে এবার খোদ সর্পযজ্ঞ করতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইড়ু সরকার। গত দুমাসে কৃষ্ণা জেলায় একশোর বেশি মানুষকে সাপে কেটেছে। মারা গিয়েছে ২ জন। সর্পদেবতার রোষানল থেকে এলাকাকে বাঁচাতে তাই সর্পযজ্ঞ করার পরিকল্পনা করেছে খোদ সরকারই।
মোপিদেবীতে বিখ্যাত সুব্রহ্মণ্যেশ্বর স্বামী মন্দিরে এই সর্পযজ্ঞ হবে। পাশাপাশি সর্পদোষ কাটাতে পুজোও হবে আগামী ২৯ অগাস্ট। কৃষ্ণা জেলার জেলা কালেক্টরের সরকারি দফতরে সেই পুজো করে সর্পদেবতাকে তুষ্ট করার চেষ্টা হবে।
কৃষ্ণা জেলায় এবছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে সরীসৃপরা বসত বাড়ি, ক্ষেতে ঢুকে পড়েছে। যার ফলে এই জেলায় সাপের কামড়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। অন্য জেলাতেও সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে। অবনীগাড্ডা ও গন্নাভরমে একজন করে মানুষ সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে সাপের কামড়ে কাটা মানুষের চিকিৎসার লাইন লেগে গিয়েছে।
সরকারের সর্পযজ্ঞের পরিকল্পনা কানে যেতেই বিজ্ঞান মঞ্চের হয়ে কুসংষ্কারের বিরুদ্ধে কাজ করা সংগঠন জন বিজ্ঞান বেদিকা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। সরকার কীভাবে কুসংষ্কারকে মদত দিতে পারে তা জানতে চেয়েছে। এতে জনগণের করের টাকা ধ্বংস ছাড়া আর কোনও কাজই হবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থার সভাপতি কৃষ্ণ কিশোর।
বিজ্ঞান মঞ্চের বক্তব্য, সরকার নানা বিষয়ে এর আগে যজ্ঞ করেছে, বৃষ্টি আনতেও যজ্ঞ হয়েছে। তবে তার কোনও ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। যদিও সরকার তা মানতে চায়নি। সরকারি আধিকারিকদের মতে, একে কুসংষ্কার বলা উচিত নয়। বিভিন্ন মন্দিরেও রোজ যজ্ঞ হয়। এটাও সেরকমই একটি সর্পযজ্ঞ।