'বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে সমাজ', এই অভিযোগে এক বৃদ্ধ কি করলেন জানেন
দেশ তথা সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে নিজের সমাধি নিজেই বানিয়ে তাতে দেহ সমাধিস্থ করতে চলেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের লাচি রেড্ডি।
দেশ তথা সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। নীতি-আদর্শ বলে কিচ্ছুটি আর নেই। সকলে স্বার্থপর ও অমানুষের মতো আচরণ করেন। এই অভিযোগ তুলে নিজের সমাধি নিজেই বানিয়ে তাতে দেহ সমাধিস্থ করতে চলেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার বছর সত্তরের বৃদ্ধ তাথিরেড্ডি লাচি রেড্ডি। তবে শেষ অবধি পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করতে পেরেছে। ফলে তিনি অভিমানে প্রাণ দিতে গিয়েও দেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, লাচি রেড্ডি গন্নাভরম গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৪ জুলাই তিনি পুলিশকে চিঠি লিখে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। নিজেকে সজীব সমাধি দেবেন বলে স্থির করেন। কারণ এই দেশে বেঁচে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। ফলে তিনি পাঁচ ফুট গভীর গর্ত খোড়েন। তাতে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে দেন।
খবর পেয়েই পুলিশ লাচি রেড্ডির কাছে এসে পৌঁছয়। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে। আপাতত আত্মহত্যার চিন্তা স্থগিত রেখেছেন লাচি রেড্ডি।
তাঁর দুই পুত্র রয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে তিনি থাকেন না। ছোট ছেলে রামকৃষ্ণ রেড্ডি জানিয়েছেন, গত দশবছর ধরে বাবা আধ্যাত্মিকতায় ডুবে থাকেন। ১০ একর জমির মালিক লাচি চাষের জমিতেই একটি ঘর করে তাতে থাকেন। বসত বাড়িতে থাকেন না।
এখানে থাকতে থাকতেই লাচি রেড্ডির মনে হয়েছে, দুনিয়াটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। এই স্বার্থপরের দুনিয়ায় বেঁচে থাকার চেয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়াই ভালো। সেটাই করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এযাত্রায় পুলিশ রক্ষা করে দিল।