এক জন পড়ুয়ার মৃত্যু হলেও দায়ী থাকবে সরকার, উচ্চমাধ্যমিকের তোড়জোড়রের মধ্যেই সুপ্রিম তোপে রাজ্য
করোনা
ধাক্কায়
রাজ্যে
রাজ্যে
থমকেছে
একাধিক
বড়
পরীক্ষা।
মাধ্যমিক,
উচ্চমাধ্যমিক
সহ
একাধিক
বোর্ড
পরীক্ষাও
হয়ে
গিয়েছে
বাতিল।
যদিও
সংক্রমণ
গ্রাফ
নামতে
থাকায়
দ্বাদশের
পরীক্ষা
নিয়ে
সেখানে
ফের
শুরু
হয়
দোলাচল।
এমনকী
পরীক্ষা
নেওয়ার
পক্ষেই
সওয়াল
করে
রাজ্য
সরকার।
যদিও
এই
বিষয়েও
এখনও
কোনও
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করা
সম্ভব
হয়নি।
কিন্তু
এর
মধ্যেই
পরীক্ষা
নিয়ে
সুপ্রিম
কোর্টের
তোপের
মুখে
পড়ল
অন্ধ্র
সরকার।
গতকাল এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে করোনাকালে পরীক্ষার জন্য যদি একজন পড়ুয়ারও জীবন সংশয় হয় তবে তার জন্য সর্বতোভাবে দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই। এই সঙ্কটকালে পরীক্ষা হবে কি হবে না সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল ২৪ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, যদি পরীক্ষা হয় তবে তাতে এবারে প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে সরকারের আইনজীবী মাহফুজ নাজকী বিচারপতি এ এম খানওয়িলকার ও দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চে আবার সাফ জানিয়েছেন অফলাইন পরীক্ষার জন্য তোড়তোড় শুরু হয়ে গিয়ে গিয়েছে। শারীরিক ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই দিতে হবে পরীক্ষা। তবে ১ জুলাইয়ের আগে এই বিষয়ে স্বচ্ছ কোনও ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আমাদের মনে হয়, যা অবস্থা বর্তমানে রয়েছে তাতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য জুলাইয়ের প্রথম সম্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
আর ঠিক তখনই আদালতের তরফে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, কিন্তু আপনারা যদিও জুলাইয়েও পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হন? অন্যান্য রাজ্যের মতো এখনই কেন আপনারা আপনাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন না? এরপরও যদি একজনেরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তবে আমরা রাজ্যকেই দায়বদ্ধ করব।আপনারা সবকিছু অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখতে পারেন না। আর তারপরে আদালতের তরফে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো জন্য দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।