এক কোটি ভোট পেলে, ৭০ টাকায় মিলবে মদ, প্রতিশ্রুতি অন্ধ্রের বিজেপি সভাপতির
এক কোটি ভোট পেলে, ৭০ টাকায় মিলবে মদ, প্রতিশ্রুতি অন্ধ্রের বিজেপি সভাপতির
মদ বা অ্যালকোহল এমন একটি জিনিস, যা ভারতের অধিকাংশ বাসিন্দাদেরই পছন্দের তালিকায় প্রথম নম্বরে রয়েছে। বিশেষ করে এই ডিসেম্বর মাসের উৎসবের মরশুমে মদ ছাড়া কোনও উদযাপনই ঠিকমমতো জমে ওঠে না। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপির সভাপতি সোমু বীররাজু জানিয়েছেন যে যদি দল রাজ্যে এককোটি ভোট পায়, তবে ৭০ টাকা করে দেওয়া হবে মদের দাম। তিনি এও জানিয়েছেন যে মদের দাম থেকে শুল্ক হটিয়ে নেওয়া হলে তা আরও কমে গিয়ে ৫০ টাকায় দাঁড়াবে। দলের নেতার এরকম মন্তব্যর জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
মঙ্গলবার বিজয়ওয়ানাতে এক জনসভায় এসে বিজেপি নেতা বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টিকে এক কোটি ভোট দিন, আমরা মাত্র ৭০ টাকায় আপনাদের মদ দেব। আমরা যদি অতিরিক্ত শুল্ক সরিয়ে দিই তবে আমরা মাত্র ৫০ টাকায় আপনাদের মদ দিতে পারব।’ নেতা জানিয়েছেন যে রাজ্য সরকার খুব বাজে ধরনের মদ বিক্রি করেন মানুষের কাছে চড়া দামে। তিনি জানান যে রাজ্যের এক কোটি মানুষ বেশি দামে মদ খাচ্ছে এবং সস্তায় মদের জন্য তাঁর রাজ্যের ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে। আসলে ২০২৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু এখন থেকেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে বিজেপি। আর তারই ফলশ্রুতি মঙ্গলবারের ওই প্রতিশ্রুতি। বিজেপি নেতা বলেন, রাজ্যবাসীকে মাসে ১২ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে মদ কেনার জন্য। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের বহু নেতাই বেনামে মদের কারখানা চালান। ওই সব কারখানা থেকে সস্তায় মদ কেনে সরকার। তারপর তা বিক্রি করে দেয় চড়া দামে।
অমরিন্দরের দল সংযুক্ত অকালি-বিজেপির জোটে শূন্যে পাবে! বোমা সুখবীর সিং
পাশাপাশি বীররাজুর আরও অভিযোগ, নকল ব্র্যান্ডের মদ বেশি দামে বিক্রি হলেও আসল ও পরিচিত ব্র্যান্ড রাজ্যে অমিল। তাঁর হিসেবে, অন্ধ্রপ্রদেশে মদের ক্রেতা ১ কোটি। আর সেই কারণেই তারঁ অনুরোধ, যদি ওই ১ কোটি মানুষ তাঁদের ভোট দেন, তাহলেই মদ্যপদের জন্য সুদিন এনে দেবে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে মদের দাম কমানো নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানান, 'এ সরকার চাকরি দিতে পারে না, খালি খাও পিও জিও’। অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এ রাজ্যের সরকার নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করে। কিন্তু পেট্রোপণ্যের ভ্যাটে লাভের হার কমাতে রাজি নয় তারা। বরং মদের দাম কমিয়ে মানুষের পকেট যাতে আরও কাটা যায় সেদিকেই লক্ষ্য।’ অথচ অন্ধ্রপ্রদেশে খোদ বিজেপি নেতাই ভোটের বদলে সস্তায় মদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।