আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস নয়! হিমাচল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad ) পথ অনুসরণ করলেন অপর প্রবীন নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। দিন কয়েক আগে গুলাম নবি আজাদ সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটিরচেয়ারম
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের (Ghulam Nabi Azad ) পথ অনুসরণ করলেন অপর প্রবীন নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। দিন কয়েক আগে গুলাম নবি আজাদ সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ত্যাগ করেছিলেন। আর এদিন আনন্দ শর্মা হিমাচল (Himachal Pradesh) কংগ্রেসের (Congress) স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করেছেন। এবছরের শেষে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে গত এপ্রিলে ওই স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস নয়
দলের
সভানেত্রী
সোনিয়া
গান্ধীকে
চেখা
চিঠিতে
আনন্দ
শর্মা
বলেছেন,
তাঁকে
হিমাচল
প্রদেশের
মূল
নির্বাচনী
কৌশল
মিটিংয়ের
বিষয়ে
জানানো
হয়নি।
চিঠিতে
কমিটির
উদ্দেশ্য
স্পষ্ট
করার
কথা
তিনি
বলেছেন।
পাশাপাশি
তিনি
এআইসিসির
সাধারণ
সম্পাদক
এবং
ইনচার্জকে
কমিটির
ভূমিকা
ব্যাখ্যা
করার
অনুরোধ
করেছেন।
তিনি
বলেছেন,
হিমাচল
কংগ্রেসের
কোর
গ্রুপ
এবং
নির্বাচনী
কৌশল
ও
প্রস্তুতি
নিয়ে
সিনিয়র
নেতাদের
বৈঠক
দিল্লির
পাশাপাশি
সিমলায়
অনুষ্ঠিত
হলেও,
তাঁকে
সেখানে
ডাকা
হয়নি।
সঙ্গে
তিনি
বলেছেন,
তিনি
আত্মসম্মানের
সঙ্গে
আপস
করতে
রাজি
নন।
তবে
তিনি
দলীয়
প্রার্থীর
হয়ে
সেখানে
প্রচার
করবেন
বলে
জানিয়েছে
আনন্দ
শর্মা।
প্রসঙ্গত
প্রাক্তন
কেন্দ্রীয়
মন্ত্রী
এবং
রাজ্যসভায়
কংগ্রেসের
সদস্য
তাঁর
সমর্থকদের
নিয়ে
মঙ্গলবার
থেকে
চারদিনের
হিমাচল
প্রদেশ
সফর
শুরু
করছেন।
চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ
সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে পদ থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন আনন্দ শর্মা। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০ জুন নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, সিএলপি নেতা এবং প্রচার কমিটির চেয়ারম্যা এবং অন্য কমিটির সিনিয়র নেতাজের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ও ৮ অগাস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং এআইসিসির পর্যবেক্ষকরা সিমলা গিয়েছিলেন। কোর গ্রুপ, সিনিয়র নেতা এবং হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সভাও ডাকা হয়েছিল। তবে সেব্যাপারে স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানকে জানানো হয়নি কিংবা আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এপ্রিলে প্রস্তুতি শুরু করে কংগ্রেস
গত ২৬ এপ্রিল সোনিয়া গান্ধী হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি, সিএলপি নেতা এবং এআইসিসির প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেছিলেন। পাশাপাশি আনন্দ শর্মাকে চেয়ারম্যান এবং আশা কুমারীকে আহ্বায়ক হিসেবে রেখে একটি স্টিয়ারিং কমিটি-সহ আটটি কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছিলেন।
কংগ্রেসের কাছে ধাক্কা
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
নির্বাচনী
দায়িত্ব
থেকে
গুলাম
নবি
আজাদ
এবং
হিমাচল
প্রদেশের
দায়িত্ব
থেকে
আনন্দ
শর্মার
সরে
যাওয়াকে
কংগ্রেসের
জন্য
ধাক্কা
বলেই
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা।
এবছরের
শেষের
দিকে
হিমাচল
প্রদেশে
ভোট।
আর
জম্মু
ও
কাশ্মীরের
ভোটার
তালিকা
চূড়ান্ত
করা
হচ্ছে,
সেখানে
যে
কোনও
সময়
ভোট
ঘোষণা
করা
হতে
পারে।
প্রসঙ্গত
গুলাম
নবি
আজাদ
এবং
আনন্দ
শর্মা
উভয়েই
কংগ্রেসের
জি
২৩
গোষ্ঠী
ভুক্ত
নেতা।
যাঁরা
কংগ্রেস
সভাপতি
থেকে
ওয়ার্কিং
কমিটি,
সব
জায়গায়
স্বচ্ছ
সাংগঠনিক
নির্বাচনের
দাবি
জানিয়ে
আসছেন।
তবে
এই
তালিকার
একাধিক
নেতা
ইতিমধ্যে
দল
ছেড়েছেন।