তাঁর নথি ও ছবি অপব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি ২৫টি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লার
উত্তরপ্রদেশের ২৫টি স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত মহিলা অনামিকা শুক্লা জানিয়েছেন যে তিনি শুধু চাকরির জন্যই আবেদন করেছিলেন এবং তারপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যাওয়ায় তিনি কোনও চাকরি গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি এক তদন্তে উঠে এসেছে যে অনামিকা শুক্লা নামে এক মহিলা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫টি শাখায় শিক্ষিকা হিসাবে রয়েছেন। গত ১৩ মাসে তিনি এক কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।

অনামিকা শুক্লা বলেন, '২০১৭ সালে বিভিন্ন জেলার স্কুলে আমি চাকরির আবেদন করি। আমি আবেদনের সঙ্গে আমার নথিও জমা দিই। কিন্তু আমি কোনও চাকরি গ্রহণ করিনি।’ তিনি বলেন, 'আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি এবং আমি সেই সময় কোনও চাকরি করতে পারতাম না, যদিও আমার কাছে বিজ্ঞানের শিক্ষিকার পদে যোগ দেওয়ার জন্য বহু ফোন আসে সরকারি স্কুল থেকে। এক বছর ধরে আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে কোনও চাকরি করতে পারিনি।’
ওই মহিলা যিনি পেশাদার শিক্ষিকা নন, তিনি জানিয়েছেন যে তিনি যখন তাঁর নথি শিক্ষা দপ্তরে জমা দিয়েছিলেন তখন কীভাবে তার কাগজপত্র চুরি হয়েছে বা অপব্যবহার হয়েছে সে সম্পর্কে তার কোনও ধারণা নেই। মহিলা জানান যে জালিয়াতির খবরে তাঁর নাম ও ছবি এবং তাঁর বাবার নাম দেখার পর তিনি উপলব্ধি করেন যে তাঁর নাম ও কাগজপত্র অপব্যবহার হয়েছে। অনামিকা বলেন, 'আমি রিপোর্ট দেখার পর আমার সব নথিপত্র নিয়ে আমি বেসিক শিক্ষা অধিকারির দপ্তরে যাই। সেখানে আমায় বলা হয় এই জালিয়াতিতে আমার কোনও দোষ নেই। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’ মহিলার স্বামী দুর্গেশ শুক্লা জানিয়েছেন যে তাঁরা কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন। এ ধরনের ঘটনা তাঁদের ভামূর্তিকে নষ্ট করেছে।
এদিকে, শিক্ষা বিভাগ অনামিকা শুক্লা নামে এক মহিলার কাছ থেকে পদত্যাগের চিঠি পাওয়ার পরে এই জালিয়াতির অভিযোগে একই নামের এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে কাশগঞ্জ পুলিশ। অন্যদিকে, একই নামের একজন অন্য মহিলা উত্তরপ্রদেশের গন্ডায় রয়েছেন এবং নির্দোষ দাবি করেছেন নিজেকে। তবে এই মহিলারা জালিয়াতির পিছনে আসল অনামিকা শুক্লা কিনা তা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত নয়।

ভারতে হামলার ছক আল-কায়দার, 'লোন উল্ফ’ আক্রমণের ছক কষছে বাংলাদেশী গবেষক দল