ছয় মহিলাকে বিয়ে করে সোনাদানা নিয়ে চম্পট, পুলিশের জালে যুবক
একসাথে ছয়টি স্ত্রী'য়ের বেশ কাটাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত আর কিছু করা গেল না। ছয় নৌকায় পা দিয়ে চলা তরী ডুবল জলেতেই। এমন বেশ কিছু খবর হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে যে এক ব্যক্তি একাধিক বিয়ে করেও একই বাড়িতে সুখে শান্তিতে বসবাস করেন। কিন্তু ইনি তা করেননি। আলাদা আলাদা ভাবে ছয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে সংসার পাতিয়েছিলেন। কেউ কারও কথা ঘুনাক্ষরেও তেড় পায়নি। তবে শেষে পড়ে গেলেন ধরা।
দুই বা তিনজন গার্লফ্রেন্ড থাকার কথা অনেকেই শুনেছেন। তবে এটি সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ঘটনা। বলিউডের ছবিতেও একজন অভিনেতার দুই স্ত্রী থাকতে দেখা গিয়েছে। তাদের একজন বাড়িতে থাকে এবং অন্য একজন বাইরে থাকে। কমেডিয়ান কপিল শর্মার ২০১৫ সালের ছবি 'কিস কিসকো পেয়ার করু'-তে অভিনেতা তিন মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং একই অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন এবং শেষ অবধি সবার সাথে তার সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু এই গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। সম্প্রতি হায়দরাবাদে ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজন নারীকে তার অন্যান্য বিয়ে গোপন করে প্রতারণা করার জন্য। তদন্তে পাওয়া গিয়েছে যে লোকটি সর্বশেষ অভিযোগকারী সহ কমপক্ষে ছয়জন মহিলাকে বিয়ে করেছিল এবং তাদের কেউই অন্যদের সম্পর্কে জানত না।
গাছিবাউলি পুলিশ ইন্সপেক্টর জি সুরেশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম আদাপা শিবশঙ্কর বাবু, যিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মঙ্গলাগিরির বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং আগের বিয়ে গোপন করে বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত চার বছর ধরে তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে তার বিরুদ্ধে একই ধরনের মামলা তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সেই এই কাজ করা থামায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, "বাবু ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে বিবাহবিচ্ছেদকারীদের টার্গেট করেছিলেন। তিনি মোটা বেতন প্যাকেজ সহ একটি বহুজাতিক সংস্থার জন্য কাজ করা একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিজের পরিচয়য় দিয়েছিলেন। সে মেয়েদের বিয়ে করত এবং কিছু দিনের মধ্যে নগদ টাকা ও সোনা নিয়ে উধাও হয়ে যেত।"
সর্বশেষ মামলা, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় সেটি কোন্ডাপুরের একজন মহিলা গত সপ্তাহে পুলিশের কাছে দায়ের করে বলেছিল যে তিনি ২০২১ সালে একটি বৈবাহিক সাইটে বাবুর প্রোফাইল দেখেছিলেন এবং তাকে বিয়ে করেছিলেন।
তার দাবি, বিয়ের পর সে ২০ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। একই ধরনের অভিযোগ এবং ঘটনা উল্লেখ করে আরসি পুরম পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন ওই আর এক মহিলাও। এরকম পরপর ঘটনা ঘটছে দেখে পুলিশ তৎপর হয় এবং অভিযুক্তকে বিশাখাপত্তনম থেকে গ্রেফতার করে হায়দরাবাদে নিয়ে আসে।