ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় মৃত আইপিএস, দেশজুড়ে করোনা আতঙ্ক ক্রমশঃ বাড়ছে
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনায় মৃত আইপিএস
দেশে একদিকে যখন করোনা ভাইরাস মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে অন্যদিকে কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচিও চলছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গা থেকেই খবর আসছে টিকাকরণের পরও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্টের বদলে কোভিড টিকা কাজ করছে না। এরই মাঝে টিকাকরণের পরও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক আইপিএস অফিসারের। জানা গিয়েছে, ওই অফিসার কোভিড ভ্যাকসিনের ২টি ডোজই নিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আক্রান্ত হন এবং মৃত্যু হয় তাঁর।
মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের বৈঠক
দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। যার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সোমবার একগুচ্ছ বৈঠক করবেন বলে ঠিক করেছেন যেখানে লকডাউনের জন্য এসওপি নির্ধারণ করা হবে। একদিকে যেখানে বিরোধীরা দাবি করেছে যে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সুযোগ-সুবিধা সহ প্যাকেজ দেওয়া হোক সেখানে শিবসেনার জোটসঙ্গী কংগ্রেস সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নয়। সূত্রের খবর, রেমডেসিভার, হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি এই তিন প্রধান চ্যালেঞ্জের মুখে এখন মহারাষ্ট্র সরকার। দেশের পশ্চিমের এই রাজ্য ফের আরও একবার করোনা ভাইরাসের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সাক্ষী রইল, রবিবার এ রাজ্যে রেকর্ড হয়েছে ৬৩,২৯৪টি কেস, যা মোট সংক্রমণের সংখ্যাকে নিয়ে গিয়েছে ৩,৪০৭,২৪৫-এ।
মুম্বইয়ের পরিস্থিতি খারাপ
অন্যদিকে রবিবার মুম্বইতে ৯,৯৮৬টি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে দেশের করোনা বোঝায় ক্রমাগত অবদান রেখে চলেছে নাগপুর, পুনে, ঔরঙ্গাবাদ, নাসিক, মুম্বই এবং থানে।
চিকিৎসারত কোভিড রোগীকে মৃত ঘোষণা বিহারে
অন্যদিকে বিহারের এক সরকারি হাসপাতালে জীবিত কোভিড রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয় অন্য ব্যক্তির দেহ। এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের রাজধানী পাটনায়। পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহমদপুর গ্রামের চুন্নু কুমারকে মৃত ঘোষণা করেন, অথচ তাঁর ওই হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা চলছে। চুন্নু কুমারের ভাইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় অন্য এক ব্যক্তির দেহ। এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় চুন্নু কুমারের পরিবারের মধ্যে।
ছত্তিশগড়ে অবস্থা খারাপের দিকে
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আর এক রাজ্য ছত্তিশগড়ে সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩৯,৩৮৪। এদিন আরও ২,২৯৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এবং ২১ জনের মৃত্যু রাজ্যে মৃতের সংখ্যাকে নিয়ে গিয়েছে ১,২১৩-তে। নতুন কোভিড কেসের ক্ষেত্রে রাঁচির পূর্ব সিংভূম (৩৬২) ও দুমকা (১২৮) রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে।
দিল্লিতে বৈঠক
অন্যদিকে, দিল্লির করোনা পরিস্থিতিও ক্রমে খারাপ হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য সোমবার দুপুরে বৈঠক করেন। রাজধানী শহরেরবিবার করোনা ভাইরাস কেস ১০ হাজার অতিক্রম করেছে এই প্রথমবার মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিবাসীর কাছে আর্জি করেছেন যে পরিস্থিতি খুব গুরুতর এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই।
বিলেতের করোনা স্ট্রেনে জর্জরিত দিল্লি, রাজধানীর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেজরিওয়াল