১০ বছরে স্বপ্নের উত্থান, অটোরিক্সা চালক থেকে হলেন শিল্পনগরীর মেয়র
১০ বছর আগে রাহুল গুলাব যাদব একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। কিন্তু শনিবার তিনি মহারাষ্ট্রের শিল্প নগরী পিম্প্রি-চিনচোয়াদের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
এ যেন এক স্বপ্নের উত্থান। এক দশক আগেই অটো চালাতেন রাহুল গুলাব যাদব। সামান্য রোজগারে কোনক্রমে সংসার চলত। কিন্তু ১০ বছরে পাল্টে গেল অনেক কিছুই। শনিবার মহারাষ্ট্রের শিল্প নগরী পিম্প্রি চিনচোয়াদের মেয়র পদে আসীন হলেন তিনি। জানালেন, অটোওয়ালাদের মতো গরীবের দুঃখ তিনি বোঝেন, তাই গরীবদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোই হবে তাঁর লক্ষ্য।
ক্লাস টেনের পরে আর পড়াশোনা করা হয়নি, অটো নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন রাহুল। ১৯৯৭ থেকে ২০০২, টানা ৫ বছর পিম্প্রি চিনচোয়াদের চিখলি, ভোসারি, মোশি এলাকায় অটো তালিয়েচেন তিনি। রোজগার হত দিনে ২০০ টাকার মতো।
একটু বেশি রোজগারের আশায় এরপর তিনি অটো বেচে দিয়ে শুরু করেন কৃষিকাজ। এরপর সেকাজও ছেড়ে এক ফার্মে গাড়ি চালানর কাজ নেন। ২০০৭ সালে রাজ ঠাকরের অনুপ্রেরণায় যোগ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনায়। ২০১২ সালে প্রথমবার পিম্প্রি চিনচোয়াদের পুরসভায় এমএনএস-এর হয়েই পা রেখেছিলেন রাহুল গুলাব।
কিন্তু সেই ১০ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে ২০১৭ সালের পুরভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। যাদবওয়ারি কেন্দ্র থেকে ৩০০০-এর বেশি ভোটে জয়ীও হন। এতদিন এই পুরসভায় অবিসন্বাদেই মেয়র বেছে নেওয়া হত। কিন্তু এইবারই এনসিপি সংখ্যায় অনেক পিছিয়ে থেকেও তাদের প্রার্থী প্রত্য়াহার করেনি। কিন্তু তাতেও জিততে সমস্যা হয়নি রাহুল গুলাব যাদবের।
শনিবার মেয়র পদে শপথ নিয়েই তিনি যান যাদবওয়ারিতে। সেখানে তাঁকে নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠে তাঁর সমর্থকরা। প্রচুর আতশবাজি ফাটিয়ে ফুল ছড়িয়ে ঘরের লোককে বরণ করে নেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাতে যানজটের সমস্যা হলেও তাকে গ্রাহ্য করার মতো মন ছিল না যাদবওয়ারির।