পরিযায়ী শ্রমিকদের মর্যাদা পাইয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়ল ৪ হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন
পরিযায়ী শ্রমিকদের মর্যাদা পাইয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা পড়ল ৪ হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন
করোনা ভাইরাস সঙ্কটের কারণেই দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে। এই শ্রমিকদের মর্যাদাপূর্ণ সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রায় ৪ হাজার স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। এই আবেদনের সাক্ষরে রয়েছে স্কলার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, বিচার ব্যবস্থার প্রাক্তন সদস্য, শ্রমিক আন্দোলনকারী এবং নাগরিক সমাজ সংগঠনের সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ির রাজ্যে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বৃহত্তর মানবিক সঙ্কট, তারপরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হোক
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, সরকার কর্তৃক বিধান থাকা সত্ত্বেও, হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ শতাংশ এখনও বিভিন্ন স্থানে আটকে রয়েছেন। সম্প্রতি নেওয়া কৌশলগুলির মধ্যে শ্রমিক ট্রেনের সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। স্বাক্ষরকারীরা চিঠিতে আবেদন করে জানিয়েছেন যে যেখানে ২ হাজার ট্রেন ৩ লক্ষ শ্রমিককে গত সপ্তাহে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে, অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বহু শ্রমিক যাঁরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন এবং অনেকেই আশ্রয়স্থানে বা সীমান্তে আটকে রয়েছেন।
কেন্দ্র সরকার সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না
চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের সঙ্গে সম্বয় সাধন করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে এবং তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রচেষ্টা এবং এই পদক্ষেপে পরিযায়ীদের নিরাপত্তা, খাদ্য ও জল সরবরাহের রসদ পর্যাপ্ত নয়। চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে পরিযায়ীদের সফরের জন্য কেন্দ্রের উচিত রাজ্যকে অর্থ দেওয়া।
শ্রমিকদের পুর্নবাসনের আর্জি
চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য জরুরি আয়ে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের কিছু অর্থ স্থানান্তর করে পুনর্বাসন দেওয়া। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদেশে আটকে থাকা পরিযায়ীদের ফেরানোর জন্য কেন্দ্র সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বিপরীত প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ক্ষেত্রে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শ্রমিক ট্রেনে খাবার ও জলের অভাব ও বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে পড়ায় পরিযায়ী শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এছাড়াও বহু শ্রমিক পথ দুর্ঘটনা বা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছেন।
করোনা আবহে থমকে টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়া, শ্যুটিং শুরু কবে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক