টুইটারে ফলোয়ারের নিরিখে লাখো যোজন এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদী হলেন সম্ভবত দেশের প্রথম রাজনীতিবিদ, যিনি টুইটার এবং ফেসবুককে পরিকল্পনা মাফিক ব্যবহার করে তরুণ ভোটারদের কাছে পৌঁছেছেন। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কাছে পৌঁছনোর মাধ্যম হিসাবেও ব্যবহার করেছেন এগুলিকে। টুইটারে ফলোয়ারের নিরিখে এখন দেশের কোনও রাজনীতিবিদ তাঁর ধারে-কাছে নেই। টুইটারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ফলোয়ার হল ১৮.২০ লক্ষ। বাংলার জনপ্রিয় নেত্রী তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা হল ১০,৬০০!
১৬ মে যখন নরেন্দ্র মোদী তাঁর জয়ের খবর টুইটারে ঘোষণা করলেন, তখন সেটা রিটুইট হয়েছে ৬৭ হাজার বারেরও বেশি, যা রেকর্ড। তা ছাড়াও আরও একটি জিনিস করেছেন তিনি। বিদেশি রাষ্ট্রনায়ক থেকে সাধারণ মানুষ, যারা নরেন্দ্র মোদীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে টুইটারে, তিনি তাঁদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যুত্তর দিয়েছেন। ভোটের ফল ঘোষণার দিন তিনি টুইটার, ফেসবুক নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত ছিলেন বলে খবর বিজেপি-র অন্দরমহল সূত্রে।
টুইটারে ওই দিন 'নরেন্দ্র মোদী' নামটি সব থেকে বেশি ট্রেন্ড দেখিয়েছে। এর পরই ছিল 'আপ', 'বিজেপি', 'রাহুল গান্ধী' এবং 'বারাণসী'। টুইটার ইন্ডিয়ার তরফে ঋষি জেটলি বলেন, "নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি, উভয়েই টুইটারের সদ্ব্যবহার করেছেন। নিজের কিছু সেলফিও সেখানে পোস্ট করেছেন। এটাও এক ধরনের দক্ষতা বলতে হবে।"
নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও বিজেপি-র আরও অনেক নেতা টুইটারে বেশ সক্রিয়। যেমন অরুণ জেটলি, শিবরাজ সিং চৌহান, নীতিন গড়করি, সুষমা স্বরাজ প্রমুখ। তুলনায় কংগ্রেস বা অন্যান্য দল অনেক পিছিয়ে। বিজেপি যে এবার সফলভাবে নবীন প্রজন্মের কাছে পৌঁছতে পেরেছে, তার অন্যতম কারণ হল টুইটার।