লন্ডন থেকে ফেরার পথে আমজাদ আলি খানের সরোদ বেপাত্তা
লন্ডনের ডার্টিংটন কলেজে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গিয়েছিলেন আমজাদ আলি খান। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী শুভলক্ষ্মী। ২৮ জুন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের উড়ানে তাঁরা দিল্লি ফিরছিলেন। ওস্তাদ আমজাদ আলি খান জানান, "২৮ জুন যখন দিল্লি এয়ারপোর্টে নামলাম, দেখলাম আমার সরোদটা নেই। ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। যখন খুঁজে পেলাম না, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কর্মীরা এসে জানালেন, পরের উড়ানে ওটা লন্ডন থেকে আসছে। ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও অপেক্ষা করছি। এত বড় একটা বিমান কোম্পানি কী করে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে, ভাবতেই পারছি না।" তাঁর আরও মন্তব্য, "গত ৪৫ বছর ধরে ওই সরোদটা আমার সঙ্গী। এখন হারিয়ে গেল। কীভাবে আমি বাঁচব!"
বিব্রত ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ক্ষতিপূরণের প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু আমজাদ আলি খান তাতে নারাজ। খুব স্বাভাবিক। শিল্পের দর সব সময় টাকার মূল্যে কি বিচার করা সম্ভব?
বিমান কোম্পানিটির তরফে বলা হয়েছে, "লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরের ৫ নম্বর টার্মিনালের মালপত্র বিভাগে কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে। ওখান থেকেই তাঁর সরোদটি বিমানে ওঠার কথা ছিল। আমরা এখনও খুঁজছি। রেকর্ড ঘেঁটে দেখছি। শিল্পীকে অনুরোধ, উনি যেন একটু সময় দেন।"
আমজাদ আলি খান আরও অভিযোগ করেছেন, ১৯৯৭ সালে এই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজই তাঁর সরোদটির ক্ষতি করেছিল। তখনও তারা ক্ষমা চেয়েছিল। ফের এমন ঘটনা ঘটল। এ বারের ঘটনায় ঘনিষ্ঠরা তাঁকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।