শাহিনবাগ বিক্ষোভকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন অমিত শাহ, অভিযোগ কেজরিওয়ালের
শাহিনবাগকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েই দিল্লি নির্বাচন লড়তে চাইছেন অমিত শাহ। এমনই অভিযোগ আনলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ এই বিষয়ে অমিত শাহকে তোপ দেগে তিনি প্রশ্ন করেন, 'উনি এত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী মানুষ। তাহলে একটা রাস্তা কী করে খুলতে পারছেন না তিনি?'
ইচ্ছাকৃতভাবে শাহিনবাগের বিক্ষোভ বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে
ইচ্ছাকৃতভাবে শাহিনবাগের বিক্ষোভকে আস্কারা দিয়ে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কেজরিওয়াল। তাঁর মতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার চাইলেই শাহিনবাগের বিক্ষোভ বন্ধ করতে পারতো, কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই তা করেনি তাঁরা, অভিযোগ দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর। আসলে ক্ষমতাসীন বিজেপি ইস্যুটির সমাধান করতে চায় না, সাফ জানান আম আদমি পার্টির প্রধান।
অমিত শাহকে আক্রমণ করে কেজরিওয়াল
অমিত শাহকে আক্রমণ করে কেজরিওয়াল বলেন, 'তিনি যদি ভাবতেন যে তিনি শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের তুলে দিয়ে ওই জায়গাটিকে মুক্ত করবেন তা করতে পারতেন না? তা নয়। আসলে তিনি শাহিনবাগকে ইস্যু করে দিল্লির নির্বাচন লড়তে চান। কেননা বিজেপির কাছে আর কোনও ইস্যু নেই।'
শাহিনবাগ নিয়ে কংগ্রেস ও আপ-কে আক্রমণ মোদীর
এদিকে সোমবার দিল্লি নির্বাচনের প্রচারে নেমে এক জনসভা থেকে শাহিনবাগ নিয়ে কংগ্রেস ও আপ-কে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'সিএএর নামে বিক্ষোভ রাজনৈতিক এক্সপেরিমেন্ট। আজ প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, 'তারা (বিরোধী) একই ব্যক্তি যারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিন্দা করেছিলেন। দিল্লির নাগরিকরা কি এই জাতীয় লোককে ক্ষমতায় চান? এই লোকেরা ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চায়, তাদের বাঁচাচ্ছেন। জামিয়া ও শাহিনবাগ সহ এই সমস্ত প্রতিবাদের পেছনে একটি রাজনৈতিক নকশা রয়েছে।'
দু'মাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় গত প্রায় দু'মাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন বহু মানুষ। শাহীনবাগের অবস্থানকারীদের মঞ্চের দিকে যেতেই চোখে পড়ে ৪০ ফিট লম্বা ভারতের একটি মানচিত্র। তার উপরে একটি স্লোগান লেখা, 'আমরা ভারতবাসীরা সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মানি না!' শুধু তাই নয়, প্রতিদিন বহু হকারদের সেখানে ভারতীয় পতাকা বিক্রি করতে দেখা যায়।
নরেন্দ্র মোদীকে অবস্থানকারীদের চিঠি
এর আগে শাহীনবাগের বেশ কয়েকজন সিএএ বিরোধী অবস্থানকারী চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে শাহীনবাগে এসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করার আহ্বান জানালেন তাঁরা।
শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানায় কেন্দ্র
এদিকে শেষমেশ দিল্লি নির্বাচনের আগে শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তায় যেতে রাজি হয়েছে বলে জানায় মোদী সরকার। এই বিশয়ে কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় মোদী সরকার। ফলে দীর্ঘ ২ মাসের টালবাহানার পর শেষমেশ শাহিনবাগ জট কাটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একটি টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছেন যে , কেন্দ্র সিএএ নিয়ে শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের আশঙ্কা দূর করতে চাইছে।