মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসতে চাইছেন অমিত শাহ! সিএএ-আন্দোলনের জেরে কি ব্যাকফুটে কেন্দ্র
সিএএ-র বিরোধিতায় দেশে আগুন জ্বলছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর করতে চাইছে। সেখানেও বাঁধ সেধেছে বাংলা ও কেরলের মতো রাজ্য। এই অবস্থায় অমিত শাহ প্রকাশ্যেই জানালেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। বাংলাই প্রতিবাদটা চরমে পৌঁছে দিয়েছে, তাই মমতার সঙ্গে আলোচনা করতে চান তিনি।

মমতা-বিজয়নের সঙ্গে বসতে চান শাহ
নাগরিকত্ব সংশোধন বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কেন্দ্র। তাই এনপিআর নিয়ে কেন্দ্র আলোচনার পথ বেছে নিল সংঘাতে না গিয়ে। বাংলা ও কেরল যেহেতু এনপিআরের বিরোধিতা করেছে, অমিত শাহ দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বসতে চান।

সমধান সূত্র খুঁজতে আলোচনার পন্থা
মমতাও বিজয়ন উভয়েই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা কোনওমতেই এনপিআর করবেন না। এনপিআরে তাঁদের আপত্তি আছে। দুই রাজ্যের তরফে বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় সরকার খানিক চাপে পড়ে যায়। তাই সমধান সূত্র খুঁজতে আলোচনার পন্থা নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মনে করেন, এই মতানৈক্য আলোচনার মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

এনআরসি এবং এনপিআরের মধ্যে যোগসূত্র নেই
অমিত শাহ সম্প্রতি একটি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানান, ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন বা এনআরসি এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআরের মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই। পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরালার মুখ্যমন্ত্রীরা এনপিআরের জন্য তথ্য সংগ্রহ থেকে বিরত হওয়ার পর তিনি এই বার্তা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কেন্দ্রের তরফে এনপিআর নিয়ে স্পষ্ট বার্তা
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের তরফে ডিজিটাল রেজিস্টার নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন এনপিআর হল একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ের ডাটাবেস। তাই এটা সমস্ত রাজ্যেরই করা উচিত। ইতিমধ্যে তা শুরুও হয়েছিল। কিন্তু সিএএ লাগু হওয়ার পর থমকে গিয়েছে এনপিআরের কাজ।

বাংলা ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ
অমিত শাহ বলেন, বাংলা ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, এনপিআর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করুন তাঁরা। শাহ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারী প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়া দরিদ্রদের ক্ষতি হবে। তিনি বলেন, এই এনপিআর দেশের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ভিত্তি হতে চলেছে। এনআরসির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।