কবে দেশে নাগরিকত্ব আইন? মতুয়া ক্ষোভ বুঝেই শুভেন্দুকে 'ডেডলাইন' দিলেন শাহ
কবে দেশে নাগরিকত্ব আইন? মতুয়া ক্ষোভ বুঝেই শুভেন্দুকে 'ডেডলাইন' দিলেন শাহ
সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কার্যকর করা হয়নি নাগরিকত্ব আইন। যা নিয়ে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর তা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন খোদ বিজেপির কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। যা নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়তে হয় বঙ্গ বিজেপিকে। আর এই অবস্থার মধ্যেই সিঈ অর্থাৎ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে নয়া ডেডলাইন বেঁধে দিলেন অমিত শাহ।
রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা
আগামী কয়েকদিন বাদেই দিল্লি উড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর দিল্লি সফরের আগেই রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দিরগক্ষন অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। একদিকে রাজ্যে যখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি। আর সেই সময়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং অমিত শাহের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকে শাহকে নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে তৃণমূল জড়িত সেই সংক্রান্ত প্রমাণ্য নথি নাকি তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে
শুধু তাই নয়, শাহের সঙ্গে বৈঠকে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়া নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন। শাহ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। আর তা শেষ হলেই ভারতে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের বিষয়ে সরকার সচেষ্ট বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি এই কার্যকর করা নিয়ে যাবতীয় কাজও যথা সময়ে শেষ হয়ে যাবে বলেও বিরোধী দলনেতাকে অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন বলে খবর।
ক্ষুব্ধ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ
বলে রাখা প্রয়োজন, গত লোকসভা ভোটের সময় তো বটেই, বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সঙ্গে ছিল মতুয়ারা। ভোটের প্রচারে এসে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ শেষ হলেও দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে। কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে থাকলেও এই আইন কার্যকর করার সাহস দেখাতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। আর প্রকাশ্যে চলেও এসেছে।
মাছ ধরতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল
আর এই অবস্থায় ঘোলা জলে মাছ ধরতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিশ্বজিতকে বনগাঁ সহ মতুয়া আধিপত্য রয়েছে এমন জায়গাতে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করার দায়িত্বে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক। এই অবস্থায় অমিত শাহের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সিএএ নিয়ে আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
A lot of things were discussed, not everything can be disclosed as I'm a disciplinary soldier of BJP. But I had 2 main agendas - HM assured me of taking an action to root out SSC recruitment scam & to release CAA draft after COVID precaution dose exercise: WB LoP Suvendu Adhikari pic.twitter.com/rSjWGZt4aR
— ANI (@ANI) August 2, 2022
অমিত শাহকে ১০০ টিএমসি নেতার নাম দিয়েছি, শুভেন্দুর দাবি ঘিরে নতুন জল্পনা