বিতর্কের মাঝেই রাজ্যসভায় এসপিজি সংশোধনী বিল পেশ করবেন অমিত শাহ
ইতিমধ্যেই স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ অ্যাক্টের সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস করিয়েছে মোদী সরকার। আর আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই বিলটি পেশ করতে চলেছেন রাজ্যসভায়।
ইতিমধ্যেই স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ অ্যাক্টের সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস করিয়েছে মোদী সরকার। আর আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেই বিলটি পেশ করতে চলেছেন রাজ্যসভায়। এরই মধ্যে গান্ধী পরিবারের থেকে এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। বর্তমানে এসপিজির উপর প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বও এসপিজিদের উপর। তাছাড়া প্রয়োজন বিশেষে এসপিজি নিরাপত্তা দেওয়া হয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।
এর আগে গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের নির্দেশিকা জারি করে মোদী সরকার। রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পর থেকেই সরকারের বিরোধিতায় সরব হয় কংগ্রেস। সংসদও এই বিষয়ে উত্তাল হয়। "চূড়ান্ত ব্যক্তিগত প্রতিশোধ" স্পৃহা থেকেই গেরুয়া বাহিনীর এই কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতাদের।
ইন্দিরা গান্ধী হত্যার পরেই প্রধানত স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় সংসদে পাশ হয় এই এসপিজি আইনটি। এতে প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকেই সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা ছিল। পরবর্তীকালে রাজীব গান্ধীর হত্যার পরে এই আইনটি সংশোধন করা হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিকটাত্মীয় পরিবারের সদস্যদের এই বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করার স্বার্থেই মূলত এই আইনটির সংশোধন করা হয়। আগামীতে যা সনিয়া গান্ধী এবং তাঁর সন্তানদের এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়ার পথকেও প্রশস্ত করে।
গত ২৮ বছরে এই প্রথম গান্ধী পরিবার বর্তমানে এসপিজি সুরক্ষা ছাড়াই থাকবে। সম্প্রতি বিজেপি সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপর থেকেও এসপিজি সুরক্ষা তুলে নেয়। বর্তমানে দেশের মধ্যে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই কেবল এসপিজি কমান্ডোদের দ্বারা সুরক্ষিত ব্যক্তি।
'বিজেপির বিরুদ্ধে বলতে পারতাম না, তাই কংগ্রেসের সাহায্য নিতাম'