হোলির পর দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে মুখ খুলবেন অমিত শাহ! বিরোধীদের চাপে নতিস্বীকার বিজেপির?
দিল্লি হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য ক্রমেই চাপ বাড়ছিল সরাকারের উপর। এই বিষয়ে প্রতিদিনই উত্তাল হয়ে উঠছিল সংসদ। বিরোধী-সরকার পক্ষ তরজায় ব্যহত হচ্ছিল লোকসভার স্বাভাবিক কাজ। এরই মধ্যে শেষ পর্যন্ত দিল্লি হিংসার বিষয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে সায় দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঝড় ওঠে সংসদে!
বৃহস্পতিবার দিল্লি হিংসা প্রসঙ্গ তুলে ঝড় আসে সংসদে। কংগ্রেস সাংসদরা বিজেপিকে ক্রমাগত আক্রমণ করতে থাকেন। সভার অধ্যক্ষর কথাও অমান্য করা হয়। যার জেরে ৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে এই অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই ঘটনার একদিন পরই বিরোধীদের চাপে এক প্রকার নতিস্বীকার করে অমিত শাহ জানান, হোলির পর ১১ মার্চ দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে সংসদে। সেখানে অমিত শাহ বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবও দেবেন।
হোলির আগেই দিল্লি নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধীরা!
যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল যে হোলির আগেই দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা হোক সংসদে। এই নিয়ে তর্ক বিতর্কের মধ্যেই বার বার অধিবেশন স্থগিত হতে থাকে। একের পর এক ঘটনার জেরে সরকারকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'এটা কি একনায়কতন্ত্র চলছে!'
এর আগে অমিত শাহর পদত্যাগের দাবি করেছিল বিরোধীরা
এর আগে দিল্লি হিংসার জেরে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। যার জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদ। সোমবারের সেই ঘটনায় বিজেপি এবং কংগ্রেস সদস্যরা লোকসভায় একে অপরকে ঠেলাঠেলিতে জড়িয়ে পড়েন। এর জেরে দুপুর ২টো নাগাদ বিরোধী দলের সদস্যরা ওয়েলে নেমে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই পরিস্থিতি জারি থাকে মঙ্গলবারও। সেদিন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
হট্টগোলের জেরে সাসপেন্ড করা হয় ৭ কংগ্রেস সাংসদকে
এরপর বৃহস্পতিবার তুমুল তোলপাড় হয়। লোকসভা থেকে ৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় এর জেরে। সংসদকক্ষে একের পর এক নিয়ম লঙ্ঘন করার দায়ে এই ৭ কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিন, এঁদের বিরুদ্ধে লোকসভায় প্রবল হুলুস্থুলু পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ ওঠে। কংগ্রেসের গৌরব গগৈ,টি এন প্রথাপন,ডিন কুরিয়াকোসে, আর উন্নিথন, মানিকম টেগোর, বেন্নি বেহনান, গুরজিত সিংকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল গতকাল।