টার্গেট ২০১৯-এ রাজ্যে রাজ্যে 'ছোট' বন্ধুর খোঁজ! বিরোধীদলে থাকা বন্ধুদের সাহায্যের আশায় মোদীর দল
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্যে রাজ্যে নতুন সহযোগী খোঁজার কাজে নেমে পড়েছে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্যে রাজ্যে নতুন সহযোগী খোঁজার কাজে নেমে পড়েছে। যার লক্ষ্য শুধু ভোট ব্যাঙ্ক বাড়িয়ে নেওয়াই নয়, রাজ্যে রাজ্যে নির্দিষ্টভাবে বিরোধীদের তরফে যে জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারও মোকাবিলা করা।
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী
বিজেপি
সভাপতি
অমিত
শাহ,
রাজ্য
ইউনিটগুলিকে
নির্দেশ
দিয়েছেন
সম্ভাব্য
সহযোগীর
খোঁজ
করতে।
সেইসব
রাজ্যে
গিয়ে
সেই
সব
সহযোগীদের
নিয়ে
আলোচনা
করবেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
রাজ্য
ইউনিটগুলিকে
দেওয়া
নির্দেশে
বলা
হয়েছে,
এমন
সব
সহযোগী
খুঁজে
বের
করতে
হবে,
যাদের
রাজ্যব্যাপী
কোনও
প্রভাব
না
থাকলেও
অঞ্চলগতভাবে
প্রভাব
রয়েছে।
কিংবা
নির্দিষ্ট
কোনও
সামাজিক
গ্রুপের
ওপর
তাদের
প্রভাব
রয়েছে।
উদাহরণ
হিসেবে
উঠে
আসছে
বিহারের
রাষ্ট্রীয়
লোক
সমতা
পার্টি
এবং
উত্তর
প্রদেশের
সুহেলদেব
ভারতীয়
সমাজ
পার্টি
এবং
আপনা
দল।
যারা
২০১৪-র
নির্বাচনে
এনডিএ-র
আসন
বাড়াতে
প্রভূত
সাহায্য
করেছিল।
২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে ২৮ টি ছোট এবং বড় আঞ্চলিকদলের সঙ্গে জোট করা হয়েছিল। যা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের রূপ পায়। লোকসভায় ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৪ টি আসন। যার মধ্যে বিজেপির একারই ছিল ২৮২ টি আসন।
যদিও ধরেও নেওয়া যায় মোদীর জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি, তবুও ২০১৯-এর নির্বাচনে কেন্দ্রের সরকারকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার মধ্যে পড়তে হবে। একইসঙ্গে ২০ টি রাজ্যে এনডিএ ক্ষমতায় থাকায় সেই প্রভাবও পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে,
তৈরি
হচ্ছে
বিরোধীরাও।
জাতীয়
পর্যায়ে
বিজেপি
বিরোধী
ফেডারেল
ফ্রন্ট
গড়ে
তোলা
না
গেলেও,
রাজ্যে
রাজ্যে
যে
জোটের
সম্ভাবনা
তৈরি
হতে
যাচ্ছে,
তাতে
বড়
চ্যালেঞ্জের
মুখে
পড়তে
চলেছে
শাসক
বিজেপি।
২০১৪
সালের
লোকসভা
নির্বাচনে
কেন্দ্র
ভিত্তিক
পর্যালোচনা
করলে
দেখা
যায়,
যদি
কংগ্রেস,
বিএসপি,
এসপি,
আরএলডি,
আরজেডি,
জেএমএম,
জেভিএম
জোট
করত
তাহলে
বিজেপির
আসন
৬৪
টি
কম
হত।
আর
যদি
প্রথম
চারটি
দল
উত্তর
প্রদেশে
জোটে
যোগ
দেয়,
তাহলে
২০১৪-র
নির্বাচনে
৮০
টি
আসনের
মধ্যে
৭১
টি
পাওয়া
বিজেপি
৪৯
টি
আসন
হারাতে
পারে
বলে
মনে
করছেন
বিশেষজ্ঞরা।
সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ২০১৯-এর নির্বাচনে আরও বেশি সংখ্যাক সহযোগী খুঁজে পেতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বিজেপিকে ২০১৯-এর নির্বাচনে বড় সাফল্য এনে দিতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে বিহারের কুশওয়াহা কেন্দ্রের কথা বলা যেতে পারে। যেখানে আরএলএসপি নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিজেপির জন্য ওবিসি ভোট জোগার করে দিতে পারেন। যেখানে বিহারে উচ্চবর্ণের ভোট পেয়ে এসেছে বিজেপি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচনের বছরে রাজ্য ইউনিটগুলিকে নির্দিষ্ট রাজ্যের বিরুদ্ধ দলে কোন কোন ঘটনা ঘটছে, সেবিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সম্ভব হলে বিরোধীদের স্ট্র্যাটেজি জানার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এককথায় চোখ-কান খোলা রেখে বিরোধীদলে থাকা বন্ধুদের ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।