যতই বিরোধিতা করুন, দেশ জুড়ে লাগু হবে সিএএ! বিরোধীদের স্পষ্ট বার্তা অমিত শাহর
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের বিরোধীদের তোপ অমিত শাহর। মঙ্গলবার লখনউতে এক জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ যাদব সহ বিরোধীদের তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, 'সিএএ বিরোধী দলগুলি অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। এজন্যই বিজেপি জনজাগরণ অভিযান পরিচালনা করছে। দেশকে ভাঙ্গার বিরোধীদের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই প্রচার চালাচ্ছি আমরা।'

বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই বিলটি লোকসভায় আমি উপস্থাপন করেছি। আমি বিরোধীদের বলতে চাই যে আপনার এই বিলটি নিয়ে প্রকাশ্যে আমার সঙ্গে আলোচনা করুন। যদি এটি কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতে পারে তবে তা প্রমাণ করে দেখান আমাকে।' প্রসঙ্গত, লখনউতে অমিত শাহর এই সিএএ-র সমর্থনে সভাটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হল যখন সেই শহরেই বিগত পাঁচ দিন ধরে একটানা সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ করছেন মহিলারা।
|
'বিরোধী নেতারা শুধু কাউ কাউ কাউ করছেন'
আজ বিরোধীদের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষের শুরে বলেন, 'আপনারা যত খুশি আন্দোলন, বিরোধিতা, বিক্ষোভ করুন, সিএএ লাগু হবেই। এই সিএএ বিরোধী নেতারা শুধু কাউ কাউ কাউ করছেন। এতে কোনও লাভ হবে না।'

রাজনৈতিক কোন্দল ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে চলমান রাজনৈতিক কোন্দল ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে চলেছে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আহমদ প্যাটেল। রবিবার তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে পাঞ্জাবের পথ অনুসরণ করে এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে নতুন এই আইনটির বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনা হতে পারে। কেরল, পাঞ্জাব ইতিমধ্যেই তাদের বিধানসভায় পাশ করিয়েছে সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন। এবার সেই পথেই হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্রও।

শাহীনবাগে সিএএ বিরোধী অবস্থান
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে শাহীনবাগে এই সিএএ বিরোধী অবস্থান। শাহীনবাগের অবস্থানকারীদের মঞ্চের দিকে যেতেই চোখে পড়ে ৪০ ফিট লম্বা ভারতের একটি মানচিত্র। তার উপরে একটি স্লোগান লেখা, 'আমরা ভারতবাসীরা সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর মানি না!' গত শনিবার শাহীনবাগের বেশ কয়েকজন সিএএ বিরোধী অবস্থানকারী চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে শাহীনবাগে এসে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন। পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করার আহ্বান জানালেন তাঁরা।

দেশ জুড়ে কার্যকর হয়ে গিয়েছে সিএএ
এদিকে এত বিরোধের মধ্যেও বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১১ জানুয়ারি কেন্দ্র জানিয়ে দেয় যে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। বিরোধী ও সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের তুমুল আপত্তি সত্ত্বেও সংসদের উভয় কক্ষেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদের দুই কক্ষ পেরিয়ে গত ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সইয়ের পর তা আইনে পরিণত হয়।