বিজেপি শাসনেও উত্তর প্রদেশে সীমান্তে বেড়েছে মসজিদ-মাদ্রাসা! অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কড়া নির্দেশ অমিত শাহের
অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে তাদের প্রতিবেশী দেশে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। নয় নভেম্বর রাজ্যগুলির সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন,
অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে তাদের প্রতিবেশী দেশে ফেরত পাঠাতে নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। নয় নভেম্বর রাজ্যগুলির সাবসিডিয়ারি ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিরাজ্য থেকে অন্তত ১০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করতে। তাঁদের নথি পরীক্ষা করে গ্রেফতারের পাশাপাশি নির্বাসনের দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী দেশগুলি যদি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রহণ নাও করে, তাও এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ।
নিরাপত্তায় চ্যালেঞ্জ অনুপ্রবেশকারীরা
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল অনুপ্রবেশকারীরা। দেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যে জনসংখ্যার আনুপাতিক পরিবর্তনের সঙ্গে এই ধরনের অনুপ্রবেশকে যুক্ত করেছিলেন তিনি।
নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন
প্রসঙ্গ ক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে গত ১৭-১৮ অগাস্ট আইবির আয়োজনে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে হওয়া সম্মেলনে রাজ্য পুলিশের ডিজিদের উপস্থিতিতে অমিত শাহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জনসংখ্যার পরিবর্তন এবং মৌলবাদের ওপরে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনসংখ্যার বিষয়টিও উঠে আসে সেই বৈঠকে। এর পিছনে ব্যাখ্যা নয়, বিশ্লেষণে জোর দিয়েছিলেন অমিত শাহ।
উত্তরপ্রদেশে বেড়েছে মসজিদ-মাদ্রাসা!
এর
আগে
গতবছরের
১৯-২১
নভেম্বর
ডিজিজের
বার্ষিক
সম্মেলনে
উত্তর
প্রদেশ
পুলিশের
তরফ
থেকে
জানানো
হয়,
রাজ্যের
সীমান্তবর্তী
এলাকায়
জনসংখ্যা
বৃদ্ধি
জাতীয়
গড়ের
থেকে
বেশি।
সীমান্তবর্তী
গ্রামগুলিতে
মুসলিম
জনসংখ্যা
বৃদ্ধির
কথা
উল্লেখ
করে
বলা
হয়,
বিগত
কয়েক
বছরে
এলাকায়
মসজিদ
ও
মাদ্রাসার
সংখ্যাও
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের
সীমান্তবর্তী
মহারাজগঞ্জ,
সিদ্ধার্থনগর,
বলরামপুর,
বহারাইচ,
শ্রাবস্তী,
পিলভিট
এবং
খিরি
এই
সাতটি
জেলায়
১০৪৭
টি
গ্রামের
মধ্যে
৩০৩
টি
গ্রামে
মুসলিম
জনসংখ্যা
ছিল
৩০
থেকে
৫০
শতাংশের
মধ্যে।
আর
১১৬
টি
গ্রামের
মুসলিম
জনসংখ্যা
ছিল
৫০
শতাংশের
ওপরে।
২০১৮
সালে
যেখানে
এই
জেলাগুলিতে
মসজিদ
ও
মাদ্রাসার
সংখ্যা
ছিল
১৩৪৯,
তা
২০২১-এর
সেপ্টেম্বরে
প্রায়
২৫
শতাংশ
বৃদ্ধি
পেয়ে
হয়েছে
১৬৮৮।
তবে
এখানে
মুসলি
জনসংখ্যার
কতটা
বৃদ্ধি
হয়েছে
তা
জানা
যায়নি।
কেননা
২০১১
সালে
আদমসুমারি
হলেও
২০২১-এ
করোনার
কারণে
তা
স্থগিত
ছিল।
ধর্মান্তরিতকরণের ওপরে নজরদারির নির্দেশ
জানা
গিয়েছে,
গত
৯
নভেম্বরের
বৈঠকে
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আধিকারিকদের
খ্রিস্টান
গোষ্ঠীগুলির
ধর্মান্তরিতকরণের
ওপরে
নজর
রাখার
নির্দেশ
দিয়েছিলেন।
এব্যাপারে
শিখদের
খ্রিস্টান
ধর্মে
ধর্মান্তরিত
হওয়ার
কথাও
উঠে
আসে।
এব্যাপারে
উল্লেখ
করা
যেতে
পারে
শিখদের
সর্বোচ্চ
কর্তৃপক্ষ
অকাল
তখতের
তরফে
সেখানে
জোর
করে
খ্রিস্টান
ধর্মে
ধর্মান্তরিত
করার
অভিযোগ
করে
পঞ্জাবে
ধর্মান্তর
বিরোধী
আইন
আনার
দাবি
করা
হয়েছে।
তবে
নয়
নভেম্বরের
বৈঠকের
পরে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
তরফে
জানানো
হয়,
অমিত
শাহ
বৈঠকে
সন্ত্রাসবাদ,
সাইবার
নিরাপত্তা,
সীমান্ত
নিরাপত্তা
ও
অখণ্ডতা-সহ
জাতীয়
নিরাপত্তা
সংক্রান্ত
বিভিন্ন
বিষয়ে
আলোচনা
করেছেন।
বৈঠকে
অমিত
শাহ
স্বাধীনতার
পর
থেকে
দেশে
শান্তি
বজায়
রাখতে
আইবির
গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের
কথাও
স্মরণ
করেছিলেন।