
আলোচনার সময় পেরিয়ে গিয়েছে, যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে! পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি শাহের
গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কাশ্মীর। পরপর জঙ্গি হামলার খবরে উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। এরই মধ্যে ফের ২০১৬-র সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা মনে করালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ বুধবার গোয়ায় ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়ে অমিত শাহ বার্তা দেন কী ভাবে শত্রুপক্ষকে কড়া জবাব দেওয়ার প্রস্তুত ভারত। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকেও এক হাত নেন তিনি।

বলেন, বহু বছর ধরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলেও দিল্লির তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত না। গোয়াতে গিয়ে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিক্করের কথা স্মরণ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ন্যাশানাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গোয়া ক্যাম্পাসের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল বুধবার।
সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, অনেক বছর ধরে হামলাকারীরা সীমান্ত পার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ও হামলা চালিয়েছে। তবে অমিত শাহের দাবি, দিল্লির দরবার থেকে পাল্টা জবাব দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হত না।
অমিত শাহ উল্লেখ করেন, পুঞ্চ সেক্টরে যখন ভারতীয় জওয়ানদের ওপর হামলা হয়েছিল, প্রাণ গিয়েছিল সেনা জওয়ানদের তখনই নরেন্দ্র মোদী ও মনোহর পারিক্করের নেতৃত্বে সার্জিকাল স্ট্রাইক করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেবারই ভারত বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর কথায়, যোগ্য জবাব দিতে আমরা এখনও প্রস্তুত। অমিত শাহ জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী ও মনোহর পরিক্করের আমলে সেই প্রথম আমরা সীমান্তের গর্বকে আরও শক্তিশালী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম আলোচনার সময় পেরিয়ে গিয়েছে,এবার যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
পাশাপাশি পরিক্করের আমলে সেনাবাহিনীর জন্য One Rank One Pension নীতি আনা হয়েছে, তারও প্রশংসা করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, জওয়ানরা যাঁরা জীবনের সবথেকে দামি সময়টা সীমান্তে ৪৩ ডিগ্রি থেকে -৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে কাটিয়ে দেন, তাঁরা অন্তত এটুকু নিশ্চিত যে ভারত সরকার তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি মাসেই কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন অমিত শাহ। আর তার আগেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভূস্বর্গ। বিগত কয়েকদিনে পরপর ৭ জন সাভারণ নাগরিককে হত্যা করেছে জঙ্গিরা, তাঁদের মধ্যে চারজনই সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে এখনও অবধি মোট ২৮ জন খুন হয়েছে জঙ্গিদের হাতে।
এদের মধ্যে ৫ জন হিন্দু বা শিখ সম্প্রদায়ের ছিলেন, ২জন হিন্দু পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। উপত্যকায় লাগাতার অভিযানও চালাচ্ছে সেনা ও কাশ্মীপ পুলিশ। বহু জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদেরও ধরপাকড় চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, যারা সদ্য জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে, তাদেরকেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এই কাজ করানো হচ্ছে।