বিজেপি প্রস্তুত বাংলা-বিজয়ে! মমতা-রাজ্যে প্রবেশ পাকা করার বার্তা অমিত শাহের
২০১৪-য় প্রবল মোদী হাওয়াতে ভর করেও বাংলায় মাত্র দুটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার সেই হাওয়া অনেকটাই স্তিমিত।
২০১৪-য় প্রবল মোদী হাওয়াতে ভর করেও বাংলায় মাত্র দুটি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবার সেই হাওয়া অনেকটাই স্তিমিত। তবু মোদী-লহর যে উঠবে নির্বাচন এলে, সে ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত বিজেপি। তাই এবার আর মাত্র দুটি আসন নয়, ২-এর পিঠে ২ চাপিয়ে নয়া টার্গেট খাঁড়া করেছে বিজেপি।
সেই লক্ষ্যপূরণে অমিত শাহ ঘোষণা করলেন, এবার বাংলার বুকেও পদ্ম ফুটিয়ে ছাড়বেন তাঁরা। তিনি বলেন বাংলাতে ঢোকার সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে বিজেপির। বাংলায় থেকে টার্গেট পূরণ করাই তাঁদের এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। এদিন অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেননি, কোন পথ দিয়ে বাংলার বুকে বিজেপির বিজয় রথ ছুটে চলবে।
২০১৪ সালে বাংলার বুকে বিজেপির সাফল্য বলতে ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ভর করে দার্জিলিং-জয় আর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জয় আসানসোলে। এবার বিজেপি বাংলার জন্য অন্য অঙ্ক কষেছে। বাংলায় তাঁদের হাতে এসেছেন তৃণমূলের কৌটিল্য। তাঁর উপর আস্থা রেখে পঞ্চায়েত ভালো ফল করেছে অপেক্ষাকৃত।
২০১৯ লোকসভায় ফেয়ার অ্যান্ড ফ্রি ইলেকশনে তাই বিজেপির পালে হাওয়া বইবে। যে মানুষ ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা এবার বাংলায় পদ্ম ফুটবে। বাংলায় তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই তাঁদের রথ বের করতে দিচ্ছে না। গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা আটকে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার রায় হয়ে গেলেই বিজেপি ঝাঁপিয়ে পড়বে।
অমিত শাহ বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি। অনুমতি পেলেই আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ব বাংলা দখলে। ২০১৯-এ লক্ষ্যপূরণ করেই আমরা বুঝিয়ে দেব ২০২১-এর বাংলায় পরিবর্তন আনার জন্য আমরা প্রস্তুত। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা আমরা বাজিয়ে দেব ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন থেকেই।