বিজেপির ২৫ নেতা দল ছেড়েছেন চার দিনে! ভাঙন ঠেকাতে ‘শিখণ্ডি’ খাঁড়া অমিতের
ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনার পরই ‘লুক নর্থ-ইস্ট’ নীতি নিয়ে বড়াই করেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই উত্তর-পূর্বেই গেরুয়া রং ফিকে হয়ে যাচ্ছে।
ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনার পরই 'লুক নর্থ-ইস্ট' নীতি নিয়ে বড়াই করেছিল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই উত্তর-পূর্বেই গেরুয়া রং ফিকে হয়ে যাচ্ছে। গত চার দিনে ২৫ জনেরও বেশি বিজেপি নেতা দল ছেড়েছেন। এরপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নড়েচড়ে বসেছে। তাঁরা উত্তর-পূর্বের রাজ্য সামলাতে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে।
ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর ও অসমে বিগত চারদিনের মধ্যে ২৫ জন নেতা দল ছেড়ে বিভিন্ন পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন। এর ফলে জাতীয় রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। কিন্তু কেন দলের অন্দরে ফাটল তৈরি হল? কেন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হঠাৎ করে এই ছন্দপচন, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরেও।
সবশেষে ত্রিপুরা বিজেপিতে ফাটল ধরিয়ে রাজ্য সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক ফিরে গিয়েছেন কংগ্রেসে। এছাড়া দুই নেতা প্রকাশ দাস ও দেবাশিস সেনও রয়েছেন সেই দলে। অরুণাচল প্রদেশে ২০ জন বিজেপি নেতা দল ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন মন্ত্রী ও ৬ জন বিধায়ক। এঁরা সবাই যোগ দিয়েছেন অরুণাচলের ন্যাশনাল পিপলস পার্টিতে। এছাড়াও মেঘালয়, মণিপুর ও অসমে দলত্যাগ করেছেন বিজেপি নেতারা।
এরপরই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দায়িত্ব দিয়েছেন উত্তর-পূর্বে দলে ভাঙন রোখার জন্য। উল্লেখ্য, একটা সময়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের পরই ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব খাতা খুলতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপিকে একা হাতে অনেকটা জায়গা তৈরি করে দেন তিনি। এই দুঃসময়ে ফের তাঁর শরণাপন্ন হয়েছে দল।