বাংলা নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক অমিত শাহের! নেতা ও সাংসদদের হাজির থাকতে নির্দেশ
পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলের সাংসদ এবং পদাধিকারীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩০ জুন দিল্লিতে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে দলের সাংসদ এবং পদাধিকারীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৩০ জুন দিল্লিতে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক রিপোর্ট নিতেই এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় ছাড়াও, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৮ জন সাংসদকে এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
সাংগঠনিক রিপোর্ট নিতে বৈঠক
রাজ্যে বিজেপির আসন ২ থেকে বেড়ে ১৮ হলেও, অনেক জায়গাতেই সংগঠন মজবুত নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তথ্য উঠে এসেছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতে বিজেপির আসন বেড়েছে ২১ টি। যার মধ্যে ১৬ টিই এসেছে এই বাংলা থেকে। এই আসন পাওয়ার সঙ্গে সংগঠনের বর্তমান অবস্থার যে কোনও সম্পর্ক নেই, তা ভাল করেই জানে বিজেপি নেতৃত্ব। সংগঠনকে জোরদার করতে তৃণমূল, কংগ্রেস কিংবা বামদলগুলি থেকে নেতা কর্মীদের যোগদান চলছেই। তবে বেশি নেতা কর্মী আসছেন তৃণমূল থেকে। পায়ের চাপে পিষে মেরে দেওয়ায় দাবি করা তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের মতো অনেকেই আসছেন বিজেপি। তা নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। এইসব নেতাদের দলে নিয়ে সংগঠন কতটা শক্তিশালী হবে, সেই প্রশ্নও উঠছে।
সামনের লক্ষ্য ২০২০-র কলকাতা পুরভোট
মধ্যে মাত্র একটা বছর। তারপরেই কলকাতার পুরসভার সঙ্গে ভোট হবে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার। কলকাতা পুরসভার নির্বাচন অনেকটা মিনি বিধানসভার মতো। ১৪৫ টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হবে। কলকাতা থেকে লোকসভার দুটি আসনের মধ্যে বিজেপি একটিও না পেলেও ফলাফলে চিন্তু বেড়েছে তৃণমূলের। ৯০ টি ওয়ার্ডে যেখানে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে, সেখানে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫১ টি ওয়ার্ডে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নামতে চাইছে বিজেপি।
লক্ষ্য যখন ২০২১-এর বিধানসভা
এবারের
লোকসভা
নির্বাচনে
বিধানসভা
ভিত্তিক
ফলাফল
পর্যালোচনা
করলে
দেখা
যায়,
রাজ্যের
২৯৪
টি
কেন্দ্রের
মধ্যে
১৬৩
টিতে
এগিয়ে
তৃণমূল
আর
বিজেপি
এগিয়ে
১২২টি
আসনে।
ফারাক
খুব
একটা
বেশি
নয়।
যে
টুকু
সময়
রয়েছে
তার
মধ্যে
সংগঠন
জোরদার
করলে
তৃণমূলকে
পর্যুদস্ত
করা
যাবে
বলে
আশা
বিজেপি
নেতৃত্বের।
এছাড়াও
রাজ্য
তৃণমূলের
সঙ্গে
যুক্ত
হয়েছেন
ইলেকশন
স্ট্র্যাটেজিস্ট
প্রশান্ত
কিশোর।
এবার
তাঁরও
মোকাবিলা
করতে
হবে
বিজেপিকে।
ফলে
৩০
জুন
দিল্লিতে
বিজেপির
বৈঠক
যথেষ্টই
তাৎপর্যপূর্ণ।