'চোখ খুলে দেখুন নানকানা সাহিবে কী হল', সিএএ নিয়ে বিরোধীদের তোপ অমিত শাহের
দিল্লি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বাজতেই রাজধানীতে বিশাল সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারে সেই পথে হেঁটে দিল্লি নির্বাচনকে মাথায় রেখে বুথ পর্যায় সব কার্যকর্তাদের নিয়ে সম্মেলন করলেন অমিত শাহ। আজকের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডাও। সেখানেই আজ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন প্রসঙ্গে বিরোধীদের এক হাত নেন অমিত শাহ। সঙ্গে নানকানা সাহিবের প্রসঙ্গ টেনে এনে সিএএ-র যৌক্তিকতাও তুলে ধনের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
|
'দাঙ্গা লাগাচ্ছে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা'
তিনি অভিযোগ করেন, 'কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দিল্লিতে মানুষের মধ্যে ভয় সঞ্চার করে দাঙ্গা লাগাচ্ছে। আমি ফের বলছি সিএএ-র কারণে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।'
|
কংগ্রেসকে তোপ অমিত শাহের
কংগ্রেসকে তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, 'আপনারা দেশে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। আপানারা বলছেন এই আইনের জন্যে দেশের সাধআরণ মানুষের থেকে তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হবে। আমি দেশএর সকল সংখ্যালঘুদের বলতে চাই যে সিএএ-তে এরকম কোনও ধারা নেই যেখানে তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।'
|
নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের ঘটনা টানেন অমিত শাহ
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নানকানা সাহিবের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'কেজরিওয়ালজি, রাহুলজি, সনিয়াজি চোখ খুলে দেখুন কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের নানকানা সাহুবে কী হল। নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলা চালানো হল। যারা যারা সিএএর বিরোধিতা করছেন এটি তাদের জন্য জবাব। এই আক্রান্ত শিখরা কোথায় যাবেন?'
নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলা
শুক্রবার লাহোরের নিকটবর্তী নানকানা সাহেব গুরুদ্বারে হামলা চালিয়েছিল একদল জনতা এবং এই বিক্ষোভের ফলে শিখ তীর্থযাত্রীদের দিকে পাথর ছুঁড়েছিল তারা। বিদেশমন্ত্রক এই ঘটনায় জানায়, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা নানকানা সাহেবে গুরুদ্বারে হিংসার শিকার হয়েছে।
ভক্তকে ভিতরে আটকে পড়েন
শতাধিক বিক্ষুব্ধ মুসলিম বাসিন্দারা গুরুদ্বারে পাথর ছোড়েন পাকিস্তানের নানাকানা সাহিবে। শুক্রবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা পবিত্র গুরুদ্বার ঘেরাও করে বহু ভক্তকে ভিতরে আটকে রাখে। আন্দোলনকারীরা গুরুদ্বারটি ধ্বংস করে সেই জায়গায় মসজিদ তৈরির হুমকিও দেয়। এই হামলা ও প্রতিবাদের ভাষা এমনভাবেই হয়েছিল যেন মসজিদ তৈরির জন্য গুরুদ্বারটি ধ্বংস করা হবে। শিখ বিরোধী নানা স্লোগানও দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা বলেন, যে কোনও শিখকে শহরেই থাকতে দেওয়া হবে না। নানকানা সাহেব গুরুদ্বার থেকে নাম পরিবর্তন করে গোলামান-ই-মুস্তফা করা হবে এই সৌধকে।