দিল্লিতে তৈরি হল ১৮০০ হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ, সবকটিতেই সদস্য হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ
২০১৯ নির্বাচনের আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের গুরুত্ব বাড়াল বিজেপি। বিজেপির দিল্লি ইউনিট ১৮০০ নতুন হোয়াট্সঅ্যাপ গোষ্ঠী তৈরি করে একেবারে স্থানীয় স্তরের কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে বেঁধে ফেলতে চাইছ
একদিনেই নতুন করে ১৮০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপের সদস্য হলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দলের কর্মীরা কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়ো বা জাল পোস্ট করছেন কিনা সেদিকে নজর রাখতেই বিজেপির দিল্লির শাখা ওই ১৮০০ টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে আর প্রত্যেটিতেই সদস্য হিসেবে জুড়ে দিয়েছে অমিত মিশ্র ও দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারিকে।
প্রচারের ক্ষেত্রে আজকের দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও তুলনা নেই। মুহূর্তেই কোটি কোটি মানুষকে ছুঁয়ে ফেলা যায়। তাই অপপ্রচার বা ভূয়ো খবরও ছড়াতে বেশি সময় লাগে না। এবছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল একাংশের সংবাদ মাধ্যমে ভূয়ো সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমের প্রবল চাপে পরে তা তুলে নিতে বাধ্য হয় সরকার।
কিন্তু সেসময়ই কেঁচো খুঁড়তে বেরোয় কেউটে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা দেখিয়ে দেন কিভাবে একাংশের মন্ত্রীরাই ভূয়ো ছবি খবর প্রচার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখা যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের এরকম অসংখ্য ভূয়ো পোস্টে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। একের পর এক এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসে মুখ পুড়েছিল বিজেপি দলের।
এরপরই গত মাসে দিল্লিতে বিজেপির 'সোশাল মিডিয়া ওয়ারিয়র্স'-এর প্রায় ৩০০ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সভা করেন অমিত। সেখানেই তিনি বরবার করে সাবধান করেন ভূয়ো বা জাল খবর ছবি ইত্যাদি পোস্ট করার বিষয়ে। বলেন, সেসব পোস্ট না করে গত ৪ বছরে মোদী সরকারে সাফল্যকে তুলে ধরতে। এবার আর মুখের কথা নয়, দলের একেবারে নিচু তলা থেকে সব কর্মী সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে বেঁধে ফেলতে চাইছে বিজেপি।
দিল্লি দিয়েই কাজ শুরু হয়েছে। সবকটি গ্রুপেই দলের সভাপতি থাকায় সব পোস্টই তিনি দেখতে পাবেন। কেউ জজাল কিছু পোস্ট করছেন কিনা তা সরাসরি ধরা পড়বে সভাপতির চোখে। বিজেপি-ও স্বীকার করে নিয়েছে দলের সব কর্মী নির্দেশ যথাযথ মানছেন কিনা তা দেখতেই এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নেট-প্রচার ব্যবহার করে আগামী লোকসভার নির্বাচনের আগে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি সভাপতি এর আগের বৈঠকে 'সোশাল মিডিয়া ওয়ারিয়র্স'-দের বলেছিলেন, আগামী দিনগুলোতে তাদের ফলোয়ারের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে, যাতে তাদের ফেসবুক পোস্ট, টুইট সর্বাধিক লোকের কাছে পৌঁছায়।
সেই লক্ষ্যে দলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকে একেবারে ঢেলে সাজাতে চাইছে বিজেপি। শুধু সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে প্রচারকে একেবারে স্থানীয় স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। দলের মত, প্রধানমন্ত্রী বা দলীয় সভাপতির বক্তব্য একেবারে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে নিচু স্তরের নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে বিজেপি। এরপর প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে স্থানীয় স্তরেও বৈঠক করবে বলে জানা গিয়েছে।