রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশমন্ত্রী! প্রশ্নের পরামর্শ অমিত শাহের
আপনারা কি চান, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশমন্ত্রী হোন? কিংবা আপনারা কি মুলায়ম সিং যাদব প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেখতে চান?
আপনারা কি চান, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশমন্ত্রী হোন? কিংবা আপনারা কি মুলায়ম সিং যাদব প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেখতে চান? রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারে এসে লোকসভার প্রচার সারলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মানুষের কাছে যান, প্রশ্ন করুন, কাকে প্রধানমন্ত্রী চান।
জয়পুরে রাজস্থান বিধানসভার প্রচারে গিয়ে এমনই প্রশ্নের অবতারণা করলেন অমিত শাহ। তিনি কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চালালেন। কটাক্ষ করলেন মহাজোটকে। কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, আপনারা লাগাতার এই প্রশ্ন করুন। অমিত শাহের রণকৌশল দেখেই পরিষ্কার, বিজেপি এবার নিশানা করছে মহাজোটকেই।
এখনও মহাজোট গঠন না হলেও সম্ভাব্য মহাজোটকেই তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে কোমর বেঁধে আক্রমণ শানালেন। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, সামনেই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় আর রাজস্থান। এই তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রবণতা বোঝা যাবে।
[আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে হিন্দুত্বের প্রচারে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, নামানো হল ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ]
নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, বিগত চার বছরে তাঁদের সরকার এমন কোনও কাজ করেনি যে, দেশের মাথা হেঁট হয়ে যাবে। বরং এমন কাজ করেছে, যা স্বাধীনোত্তর পর্বে কোনও সরকার করার সাহস পায়নি। আমাদের হিম্মত আছে তাই নোটবন্দি থেকে শুরু করে জিএসটি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে এনআরসির মতো কাজ অবলীলায় করে দেখিয়েছি।
[আরও পড়ুন: বিজেপির ভয়ে লেজ গুটিয়ে ফিরে আসেনি তৃণমূল! প্রমাণ দিতে অসমে ঝড় তুললেন ফিরহাদ ]
এদিন তিনি এনআরসি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি 'শোলে'র সংলাপ অনুকরণে বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চুন চুন কর নিকালেঙ্গা। কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, আপনারা যতই বিরোধিতা করুন, কেউ আটকাতে পারবে না। আগামীর ভারতের জন্য, আধুনিক ভারতের জন্য বিজেপিই একমাত্র পথ। দেশের মানুষ কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আর পুরনো ভুল করবে না। ২০১৯-এ বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন:পড়ুয়াদের ওপর ' বহিরাগত সশস্ত্র' হামলা! কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন]