কংগ্রেসকে নিশানায় অমিতের ৯ বাণ, রাজা-মহারাজের পরিবার না দেশ, বেছে নিন
মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে বেলাগাম নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেস দেশের জন্য কিছু করেনি।
মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে বেলাগাম নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেস দেশের জন্য কিছু করেনি। দেশের সুরক্ষা থেকে উন্নয়ন সবকিছুতেই ব্যর্থ কংগ্রেস। ৭০ বছর ধরে শুধু পিছিয়েই দিয়েছে দেশকে। একমাত্র মোদীই পারেন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তাই মোদীর হাত শক্ত করতে বিজেপিকে জয়ী করুন।
বড় সাফল্য দেশের সুরক্ষা
দেশের সুরক্ষায় কংগ্রেস কোনওদিন যত্নবান ছিল না বলে বেলাগাম নিশানা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বিগত ৭০ বছর ধরে ভারতকে শাসন করেছে কংগ্রেস। কিন্তু তারা দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিল বরাবর। সীমান্ত সুরক্ষিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির আমলে। মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বড় সাফল্য ছিল এই দেশের সুরক্ষা।'
সুরক্ষায় কংগ্রেসকে একহাত
এদিন একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। সেখানে কংগ্রেসকে একহাত নেন। দেশের নিরাপত্তার মাপকাঠিতে কংগ্রেসকে অপদস্ত করেন। তিনি বলেন, যখন কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল এবং মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, পাকিস্তানী সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করত, একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিরে যেত। কিন্তু এখন এসব হয় না।
কংগ্রেসকে মৌনী কটাক্ষ
২০১৬ সালে উড়িতে জঙ্গিহানায় ১৮ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। তারপর সেই আক্রমণের জবাব দিয়েছিল ভারত। ভারত বুঝিয়ে দিয়েছিল এখন ক্ষমতায় মৌনি বাবা (মনমোহন সিং) প্রধানমন্ত্রীর শাসন ছিল না। মোদিজি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো আমাদের জওয়ানরা তার প্রতিশোধ নিয়েছিল।
জীবনের চেয়ে দেশ বড়
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস ৭০ বছর দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাঁদের কোনও উদ্বেগও ছিল না। তারা কেবল ভোট ব্যাঙ্ক নিয়েই ব্যস্ত থেকেছে। আমাদের সরকার কাজ করছে দেশের জন্য, আমাদের নিজের জীবনের চেয়ে দেশের সুরক্ষা অনেক মূল্যবান।
পরিবারতন্ত্র তোপ কংগ্রেসকে
শাহ বলেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, কেউ যদি প্রধানমন্ত্রী বা কংগ্রেসের সভাপতি হতে চান, তাঁদের নেহরু বা গান্ধী পরিবারে জন্ম নিতে হবে। কিন্তু বিজেপিতে শীর্ষে উঠতে পারে গরিব পরিবারের জন্মের পরেও। এটাই হল গণতন্ত্র। আমরা তাতেই বিশ্বাসী। কংগ্রেসের মতো পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী নই আমরা।
গরিব ঘরে জন্মে শীর্ষে
আর গরিব পরিবারে জন্মেও যে শীর্ষে ওঠা যায়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলেন নরেন্দ্র মোদি। যিনি একজন চা বিক্রেতা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু তিনিই এখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনিই মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য গত ১৫ বছর থেকে কাজ করে চলেছেন।
পরিবার না দেশ
অমিত শাহ প্রশ্ন ছুড়ে দেন, আপনারাই চিক করুন, আপনি একজনের পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, নাকি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে বিজেপি ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। বিজেপিই একমাত্র পারে জনগণের সেবা করতে।
রাজা-মহারাজা নয়, মানুষ
শাহ জানতে চেয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে বিরোধীদলের সেনাপতি কে। একজন রাজা (দিগ্বিজয় সিং), একজন মহারাজা (জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া) আর একজন শিল্পপতি (কমল নাথ)। কংগ্রেস তাদের শক্তি নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। আর আমাদের আছে মানুষের শক্তি, খেটে খাওয়া গরিবি মানুষের শক্তিতে আমরা লড়াই করছি। কংগ্রেস এ রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছিল, মানুষকে নিয়ে শিবরাজ সিং মধ্যপ্রদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।
জ্যোতিরাদিত্যকে নিশানা
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিশানা করে তিনি বলেন, মধ্য প্রদেশের জন্য তিনি কী করেছেন। রাজ্যের পরিবর্তন কতটুকু জানেন তিনি। তিনি কিছুই জানেন না, কারণ তিনি গোয়ালিয়রের প্রাসাদে থাকেন, মানুষের কাছে পৌঁছন না। তিনি কী করে বুঝবেন দরিদ্র কৃষকদের কথা। আমি কংগ্রেসের সভাপতিকে জিজ্ঞেস করতে চাই, তিনি কী দিয়েছেন রাজ্যকে?