নাগরিকত্ব ইস্যুতে রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের রুখতে নয়া ছক অমিত শাহের! 'চাণক্য'-র কোন প্ল্যানে রাহুল সিনহা
নাগরিকত্ব ইস্যুতে রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের রুখতে নয়া ছক অমিত শাহের! 'চাণক্য'এর কোন প্ল্যানে রাহুল সিনহা
সংসদে দাঁড়িয়ে দৃপ্ত কণ্ঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গোটা দেশ এনআরসি হবে। এরপর সংসদে নাগরিকত্ব ইস্যুতে সংশোধনী আইন পাশ হতেই গোটা দেশে আগুন জ্বলেছে। সিএএ নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যারা ক্রমাগত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে মোদীর বিরুদ্ধে। বিভিন্ন রাজ্যেও চলেছে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ। আর এই রাজ্য ভিত্তিক বিক্ষোভ ঠেকাতে এবার স্বয়ং বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ নামছেন ময়দানে।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে কোন ছকে বিজেপি?
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকত্ব ইস্যুতে রাজ্যভিত্তিক যে বিক্ষোভ আন্দোলন উঠছে, তা ঠেকাতে এবার ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যের ভিত্তিতে বিরোধীদের এই ইস্যুতে ঠেকাতে একাধিক গেলপ্ল্যান তারি করেছে পদ্ম শিবিরের হেডকোয়ার্টার। যার দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন জেপি নাড্ডা।
কোন ছকে অমিত শাহ
জানা গিয়েছে, অমিত শাহের নির্দেশে গোটা দেশের বিজেপির রাজ্য সভাপতিদের উপর দেওয়া হয়েছে বিরোধীদের ঠেকানোর নির্দেশ। এছাড়াও কেন কোন রাজ্যে কোন কোন নেতা দায়িত্বে থাকবেন, তাও ঠিক করে দিয়েছেন শাহ।
রাহুল সিনহার কাঁধে বড় দায়িত্ব
অসমের হেমন্ত বিশ্বশর্মা ও বাংলার রাগুল সিনহার উপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড, উত্তরপূর্বের দায়িত্ব। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের দায়িত্বে রয়েছেন অনিল শর্মা। জানা গিয়েছে, এই রাজ্যগুলিতে সিএএ নিয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কিভাবে ঘুঁটি সাজাতে হবে, তা ঠিক করবেন এই নেতারা।
আর কোন রাজ্যের দায়িত্বে কে?
দক্ষিণের বেশিরভাগ রাজ্য রয়েছে রবীন্দ্র রাজুর দায়িত্বে। অবিনাশ রাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি, ছত্তিশগড়। মহারাষ্ট্র, রাদস্থান, গুজরাত, গোয়া ,দমন , দিউ, রয়েছে সরোজ পাণ্ডের হাতে। সুরেশ ভট্টকে দেওয়া হয়েছে, হরিয়ানা,পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ, চণ্ডিগড়, ও জম্মু ও কাশ্মীরের দায়িত্ব।
বিজেপির লক্ষ্য ক'টি পরিবার?
বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্ক ঠিক করেছে দেশে ৩ কোটি পরিবারকে নাগরিকত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। আর তার লক্ষ্যে শুরু হবে কর্মসূচি। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। মনে করা হচ্ছে , ২০২০ দিল্লি ও বিহার নির্বাচনের আগে বিজেপি নিজের প্রচারে বড়সড় ঘুঁটি সাজাতে শুরু করল।
দিল্লি বিধানসভা ভোটে নজিরবিহীনভাবে কাজে লাগানো হবে প্রযুক্তিকে