বিহারে নীতীশকে ছাড়া চলবে না! জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের মাঝেই অস্বস্তি
বিহারে নীতীশ কুমারই শেষ কথা। নীতীশ কুমারকে ছাড়া চলবে না বিজেপি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিকর উপলব্ধির সম্মুখীন হল গেরুয়া শিবির। পাটনায় আয়োজিত জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই উঠে এল সেই সত্য।
বিহারে নীতীশ কুমারই শেষ কথা। নীতীশ কুমারকে ছাড়া চলবে না বিজেপি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তিকর উপলব্ধির সম্মুখীন হল গেরুয়া শিবির। পাটনায় আয়োজিত জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই উঠে এল সেই সত্য। দুদিনের বৈঠক শেষে বিহার বিজেপির উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দলকে সম্প্রসারণ করুন, কিন্তু জোটসঙ্গী জেডিইউয়ের সঙ্গে যেন কোনও সংঘাতপূর্ণ আবহ নেমে না আসে!
বিজেপি সম্প্রতি দাবি করেছে, অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের শক্তি নেই তাঁদের খর্ব করে। কিন্তু বিহারের ক্ষেত্রে তাঁরা নীতীশ কুমারের উপর নির্ভর করে এগোতে চাইছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোট ও ২০২৫-এ বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে যে তাঁরা নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট করেই লড়তে চায়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বিহারে বিজেপি ও জেডিইউয়ের জোট সরকার শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বুঝিয়ে দেন নীতীশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই তাঁরা চলবেন। সম্প্রতি নীতীশ কুমার কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলায় বিজেপির মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। রাজ্য বিজেপি মনে করছিল, তাঁদের এবার ভিন্ন পথ বেছে নেওয়া দরকার।
কিন্তু প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পরে বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে থেকে যে বার্তা উঠে এল, তাতে বিহারে আপাতত নীতীশ কুমারকে ভিন্ন ভাবতে পারছে না বিজেপি। অমিত শাহ-জেপি নাড্ডাদের সাফ কথা, বিহারে বিজেপিকে সম্প্রসারণ করার কাজ চলুক, কিন্তু নীতীশ কুমার বা তাঁর দলের সঙ্গে কোনও অসহযোগিতা করা চলবে না। তাঁদেরকে নিয়েই এগোতে হবে।
দলের সম্প্রসারণের জন্য নীতীশ কুমারের বিরোধিতা করলে তা একটি সুস্থ জোটের পক্ষে সুখকর হবে না। সম্প্রতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিহার বিজেপির নেতারা। বিহারের জোট সরকার এবং নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গে ২০২৪-এর আগে জোট নিয়ে গোল বাধে। সে ব্যাপারেই দলের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে।
সম্প্রতি বিহারে বিজেপি স্বতন্ত্র হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই দ্বিতীয় মেয়াদে জোট সরকারে বিজেপি ও জেডিইউয়ের মধ্যে সম্পর্ক আদৌ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না বা নেইও। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যের বিরোধিতাও করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। এখন অবশ্য অমিত শাহরা ভিন্ন সুর গাইছেন। কারণ ভোট বড় বালাই। এখনও বিহারে স্বাবলম্বী নয় বিজেপি!