আশা-আশঙ্কার দোলাচলের মাঝেই এইমসে শুরু হয়ে গেল কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল
করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে একাধিক তাবড় সংস্থার সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিচ্ছে কোভ্যাক্সিনও। আইসিএমআর-ভারত বায়োটেকের হাতেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি তৈরি হয়েছে এই করোনা টিকা। এবার বৃহষ্পতিবার এই ভ্যাকিসনের তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হয়ে গেল এইমসে। এইমসেরই নিউরোসায়েন্সেস সেন্টারের প্রধান ডাঃ এম ভি পদ্মা শ্রীবাস্তব এবং তিন জন স্বেচ্ছাসেবককে এদিন কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এইমসেই আরও প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই টিকার প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু তাদের মধ্যেই প্রথম নিজ শরীরে এই সম্ভাব্য করোনা টিকার প্রয়োগ করে নয়া রেকর্ড গড়লেন ডাঃ এম ভি পদ্মা শ্রীবাস্তব। এদিকে ০.৫ মিলিলিটারের টিকা প্রদানের পর এদিন প্রাথমিক ভাবে ২ ঘন্টা তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ডাঃ শ্রীবাস্তাব ছাড়ও আরও যাদের শরীরে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে তাদেরকেও আগামী দুদিন বিশেষ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণ পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতেই মূলত সমস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের উপরেই এই বিশেষ পর্যবেক্ষণ চালানো হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই এইমসেই প্রথম কোভ্যাক্সিনের 'হিউম্যান ক্নিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি এই পরীক্ষার জন্য দিল্লির 'ডক্টর ডাংস ল্যাব’-এর সহযোগিতা নিয়েছিল হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। অন্যদিকে অগাস্টের শেষার্ধেই মেলে সুখবর। মানবদেহে কোভ্যাক্সিনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানায় ভারত বায়োটেক। যদিও শেষ ট্রায়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী এই করোনা টিকা এখনও পর্যন্ত মানবদেহে ৬০ শতাংশ কার্যকরী বলে জানিয়েছেন সংস্থার কোয়ালিটি অপারেশন বিভাগের শীর্ষ কর্তা সাই ডি প্রসাদ।
সরকারি পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর, তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়াল?