২০ এপ্রিল থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড়, কীভাবে হবে কাজ, নয়া গাইডলাইন মোদী সরকারের
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিল সোমবার থেকে দেশের বেশ কিছু অংশে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার লকডাউনের মধ্যেই ২০ এপ্রিল সোমবার থেকে দেশের বেশ কিছু অংশে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে সেই ছাড় দেওয়া হবে তার সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছে মোদী সরকার। কয়েকদি সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী একনজরে জেনে নিন।
কৃষি এবং উদ্যান কাজে ছাড়
করোনা আবহের মধ্যেই যে বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কৃষি এবং উদ্যান। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিকাজ। দেশের খাদ্যভান্ডার পূর্ণ রাখতে তাই কৃষিকাজ স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০ এপ্রিল থেকে গ্রামাঞ্চলে কৃষকরা চাষাবাদের কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষিকাজের সঙ্গে সহায়তাকারী সামগ্রীর দোকানও খোলা রাখা যাবে বলে সরকারি গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
উৎপাদন ক্ষেত্রে ছাড়
দেশের অর্থনীতি যাতে একেবারেই ভেঙে না পড়ে সেকারণে উৎপাদন ক্ষেত্রকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কুড়ি তারিখ থেকে। সেজ বা শিল্পাঞ্চলগুলি পুণরায় স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির হার্ডওয়্যার উৎপাদন ক্ষেত্র, মেডিকেল সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক করায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রেও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেডিকেল সরঞ্জাম তৈরির কারখানা, অ্যাম্বুলেন্স তৈরির কারখানা খোলা থাকবে।
ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশ নিষিদ্ধ
দেহ দাহ করা বা অন্ত্যেষ্টী ছাড়া কোনও রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেহ দাহ বা অন্ত্যেষ্টির ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি এক জায়গায় সমাবেশ করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সব রকম গণপরিবহণ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বাস, ট্রেন, অটো, ট্যাক্সি কোনও কিছুই চালানো যাবে না। স্কুল, কলেজ সহ সব রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
ব্যাঙ্ক ও ১০০ দিনের কাজে ছাড়
অর্থনীতি সচল রাখতে ব্যাঙ্ককে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। ব্যাঙ্কে দৈনিক লেনদেন এবং এটিএম পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিধি মেনে ১০০ দিনের কাজ চালু করা যাবে বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। কয়লা খনি, তৈল উত্তোলন কেন্দ্র স্বাভাবিক থাকবে। খোলা থাকবে হাইওয়ে ধাবা এবং ট্রাক সারাইয়ের দোকান। দুগ্ধ জাত দ্রব্যের উৎপাদন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হবে। মুদির দোকান, সবজির দোকান, মাছ, মাংস, ডিমের দোকান খোলা থাকবে। সব ক্ষেত্রেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলতে হবে।