বিরোধীদের বয়কটের মাঝেই রাজ্যসভায় পাশ তিনটি শ্রম বিল, কী বলছে নয়া আইন?
সংসদ চত্বরে চলছে কৃষি বিলের প্রতিবাদ। একই সময়েই রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় তিনটি শ্রম বিল। যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন বিরোধীরা। জানিয়েছিলেন, একপাক্ষিকভাবে যেন বিল পাশ না করা হয়। তা গণতন্ত্রের উপর দাগ ফেলবে। এইদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থগিত হয়ে যায় বাদল অধিবেশন।
লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ তিনটি শ্রম বিল
১ অক্টোবর পর্যন্ত বাদল অধিবেশনের সূচি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ২৫ জন সাংসদ এখনও পর্যন্ত কোরোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থগিত হয় অধিবেশন। এরই মধ্যে এদিন পাশ হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড ২০২০, অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড ২০২০, কোড অন সোশাল সিকিউরিটি ২০২০ বিল।
বিল পাশে 'সুরক্ষিত পরিবেশে' কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা
গতকাল লোকসভায় তিনটি শ্রম কোড বিল পাশ হয়। আজ রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় বিল তিনটি। এখন শুধু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই প্রয়োজন। আজ রাজ্যসভায় তিনটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার। তিনি দাবি করেন, এই বিল পাশে 'সুরক্ষিত পরিবেশে' কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা। সামাজিক সুরক্ষাও পাবেন।
কী বলছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড বিল
ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস কোড বিল অনুযায়ী, যে কম্পানিগুলিতে ৩০০-র কম কর্মী কাজ করেন। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই তারা কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে। যে কম্পানিগুলিতে ১০০ জনের কম কর্মী কাজ করেন। এমন কোনও সংস্থায় ছাঁটাই বা ক্লোজারের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিল না। সেই নিয়মেই পরিবর্তন আনা হল।
৬০ দিনের নোটিস ছাড়া ধর্মঘট নয়
এই বিলের আওতায়, কোনও শিল্প-কর্মী ৬০ দিনের নোটিস ছাড়া ধর্মঘট করতে পারবেন না। ধর্মঘট করলে তাঁদের উপর জরিমানা, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। জল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের উপর শুধু এই নিয়ম আরোপিত ছিল। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কোনও ধর্মঘটের আগে ছয় সপ্তাহের নোটিস দিতে হয়।
অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড বিল
অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস কোড বিলে কারখানা, খনির শ্রমিকরা সাহায্য পাবেন। কিন্তু প্রয়োজন আরও বেশি বলে দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলির। সেক্ষেত্রে শ্রমিক সংগঠনগুলিও কৃষকদের সঙ্গে প্রতিবাদ-আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। এমনকী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘও শ্রম বিলগুলির তীব্র বিরোধিতা করেছে।
লাদাখ সীমান্তের দু'দিকে মোতায়েন রয়েছে ১ লক্ষ! দীর্ঘ সংঘাতের জন্য তৈরি ভারতীয় সেনা