লাদাখ সংঘাতের আবহে রাজনাথ পা রাখলেন ইরানে, সামনে রয়েছে কোন অ্যাজেন্ডা
৩ দিনের রাশিয়া সফরের পর এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পা রাখলেন ইরানের মাটিতে। রাশিয়ায় রাজনাথ সিং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র চুক্তির পর এবার ইরানের মানভঞ্জনের কূটনীতিতে মনোনিবেশ করবেন বলে খবর। উল্লেখ্য, দিল্লি হিংসার সময় ট্রাম্পের ভারত সফরকালে ভারত বিরোধিতায় মুখর হয়েছিল ইরান। সেই জায়গা থেকে আমেরিকা বিরোধী এই দেশে লাদাখ সংঘাতের সময় রাজনাথ সিংয়ের সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনাথ ও তেহরান কূটনীতি
ভারত ও ইরান ঐতিহাসিক ভাবে ভালো বন্ধু হলেও সম্প্রতি আমেরিকার ঘনিষ্ঠতার দাম হিসাবে সেই বন্ধুত্বে চিড় ধরেছে। ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধে বাধ্য হয়েছে ভারত। এদিকে ইরানের পরম শত্রু আমেরিকার সঙ্গে ভারতে সখ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চিনের সংঘাত বেড়েছে। শত্রুর শত্রুকে বন্ধু বানানো অনেক পুরোনো নীতি। আর সেই পথে হেঁটেই ইরান এখন চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক
জানা গিয়েছে ইরান সফরে গিয়ে রাজনাথের মূল লক্ষ্য রয়েছে সেদশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক। সেদেশের প্রতিরক্ষামন্তরী ব্রিগেডিয়া র আমির হাতামির সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের তেহরানে একটি বৈঠক করার কথা।
পার্সিয়ান উপসাগর নিয়ে উদ্বেগ
এদিকে, ইরান সফরের একদিন আগে পার্সিয়ান উপসাগর ঘিরে উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজনাথ সিং। সেখানে ক্রমাগত ইরান-মার্কিন সংঘাত বাড়ছে। সংঘাতের আরও এক কেন্দ্রীয় চরিত্র ইউএএ। এমন প্রেক্ষাপটে রাজনাথের সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বাণিজ্য ও রাজনাথ-কূটনীতি
এই চুক্তিতে ভারতের বদলে চিনের নাম থাকায় প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। বিতর্ক দানা বেধেছে ভারতের রাজনীতিতে। তবে ইরানের বক্তব্য ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বে কোনও চিড় পড়েনি ইরানের। যদিও দিল্লি-ওয়াশিংটনের একাধিক চুক্তি চক্ষুশূল হয় ইরানের। এরপর উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ভাগে যখন দিল্লি হিংসার আগুনে জ্বলছে, তখন পাকিস্তানের উস্কানিতে সিএএ নিয়ে ও দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিল ইরান। কার্যত সেই সময় ভারতের পরিস্থিতিকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি সেদেশ। সমালোচনার সুরে এদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে ইরান।