লাদাখ সংঘাতের মাঝে দিল্লি থেকে চিনকে কোন তথ্য পাচার করেন ধৃত সাংবাদিক! কোমর কষছে ভারত
দিল্লির বুক থেকে ফ্রিলান্স সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে শনিবারই গ্রেফতার করেছে ভারত। তাঁর গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক হাড়হিম করা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

তথ্যের বিনিময়ে প্রচুর টাকা!
বহুদিন ধরেই সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের জন্য চিনের মহিলা কুইং শি ও তার নেপালের সহযোগী শের সিং টাকা দিত। দিল্লি পুলিশ জানতে পারে শর্মা ওই দুই চিনা ও নেপালির হাত ধরে ভারতের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি চিনের গোয়েন্দাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে। বেশির ভাগ তথ্যই ভারতীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কীয়।

তথ্য সরবরাহ ও টাকা
হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে রাজীবের কাছে টাকা আসত। তার বিনিময়ে লাদাখ সীমান্তে কী কী ঘটছে, বা ভারতীয় প্রতিরক্ষা দফতরের কাছে কী কী তথ্য রয়েছে, তা নিয়ে খবরাখবর পাচার করতেন ওই সাংবাদিক। চিনে অবস্থিত আরও দুইজন গুপ্তচরের সঙ্গে সাংবাদিক শর্মার সরাসরি কথা হত বলেও তিনি পুলিশি জেরায় জানিয়েছেন।

চিনের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
সাংবাদিক শর্মার জেরার সময় , জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে চিনের তাবড় সংবাদপত্র 'গ্লোবাল টাইমস' এ লেখালিখি করতেন তিনি। তাঁর লেখাই মাইকেলের নদর কাড়ে। এই মাইকেল চিন থেকে বসে ভারতের গুপ্তচর বিধি নিয়ন্ত্রণ করছিল। আর সেই মাইকেলের সূত্র ধরেই রাজীব শর্মা এই তথ্য পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়েন।

কোন কাজ শর্মাকে দেওয়া হয়?
ভারত সীমান্তে ভুটান, সিকিম ও চিন সংলগ্ন সীমানায় ভারতের প্রতিরক্ষা কেমন, সেখানে কত সেনা মোতয়েন রয়েছে, সেই সংক্রান্ত খবরাখবর দিতেন এই সাংবাদিক। এছাড়াও ভারত মায়ানমার সীমান্তের খবরাখবরও পাচার করতেন তিনি। জানা গিয়েছে, চিনের গুপ্তচর মাইকেলের সঙ্গে তিনি মালদ্বীপেও একবার দেখা করেছিলেন, তথ্য পাচারের কাজে র জন্য।