লাদাখ সংঘাতের আবহে টি ২০ মেজাজে ভারতের পর পর পদক্ষেপ! রাশিয়া যাওয়ার আগে ইরানে বিশেষ বৈঠক জয়শঙ্করের
ক্রমাগত টি ২০ মেজাজে লাদাখ সংঘাতের আবহে ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপ এগিয়ে চলেছে। লাদাখে যখন সংঘাতের ময়দানে পেশী শক্তিতে চিনকে চোখ রাঙাচ্ছে ভারেত, তখন মোদী সরকারের একের পর এক সেনানী ক্রমাগত কূটনৈতিক স্ট্র্যাটেজি পোক্ত করতে ব্যস্ত। একদিকে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশকে নিজের পক্ষে আতে ভারত যেমন চেষ্টা করছে, তেমনই কেন্দ্রের ফোকাসে রয়ে যাচ্ছে ইরান।
ইরানে বিশেষ বৈঠক
রাশিয়ার মস্কোয় আয়োজিত এসসিও বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। সেখানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা হাজির থাকবেন। থাকবেন চিনের বিদেশমন্ত্রীও। তবে সেই জন্য ৪ দিনের রাশিয়া সফরে উড়ে যাওয়ার আগে আচমকাই ইরানে অবতরণ করতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সেখানে ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে তাংর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে বলে খবর।
কেন ইরান ফোকাসে
সিএএ আন্দোলনের সময় ভারতে দিল্লির ঘটনার প্রেক্ষিতে কার্যত মোদী সরকারের সমালোচনায় অবতীর্ণ হয় ইরান। যে বক্তব্যকে সুযোগ বুঝে কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ট্রাম্পের সফর নিয়েও মার্কিন বিরোধী ইরান ক্ষুব্ধ ছিল ভারতের ওপর। এরপরই চাবাহার রেল প্রকল্প ভেস্তে যায় দুই দেশের চুক্তির পরও। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে পুরনো সখ্যতা বজায় রাখতে চেষ্টা করছে ভারত। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হলেই ভারতের ধুঁকে পড়া অর্থনীতি রীতিমতো চাঙ্গা হতে পারে বলে খবর।
চিন-ভারত সংঘাত ও বৈঠক
এদিকে, লাদাখ সংঘাতের তাপ ঠান্ডা করতে একমাত্র উপায় সম্পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্ট। আর সেই ডিসএনগেজমেন্টের রাস্তা ধরেই এবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের একটি বিশেষ বৈঠক সমস্ত বিদেশ মন্ত্রীদের নিয়ে মস্কোয় আয়োজিত হবে। আর সেখানেই এই ভারত-চিন বৈঠক চাইছে বেজিং।
চিন-ভারত বৈঠকে ফোকাসে কী থাকছে?
১৯৯৩ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের যে সীমান্ত বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, তার পাঠ ফের একবার চিনকে ভালোভাবে পড়ানোই একমাত্র উদ্দেশ্য থাকবে জয়শঙ্করের। লাদাখে চিনের বিস্তারবাদের নেশা ছোটাতে ভারতে একাধিক কূটনৈতিক অস্ত্রে শান দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, প্যানগংয়ে চিনের নতুন আগ্রাসনের প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।